চলতি ২০২৪–২৫ অর্থ বছরে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ। মূলত গ্রামাঞ্চলের চাহিদা বৃদ্ধির জেরে দেশটির প্রবৃদ্ধির পালে হাওয়া লাগতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়।
গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে জিডিপির সূচক মধ্যম সারিতে থাকলেও তৃতীয় প্রান্তিকের পর থেকে তা উল্লেখযোগ্যহারে বাড়বে। এই হারে জিডিপি বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকলে ভারত দ্রুততম প্রবৃদ্ধির বৃহৎ অর্থনীতির তকমা ধরে রাখতে পারবে বলে আশা বিশেষজ্ঞদের। খবর ইকোনমিক টাইমস।
এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও (আইএমএফ) একই কথা বলেছে। অক্টোবরে তারা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, চলতি অর্থবর্ষে (২০২৪-২৫) জিডিপি প্রবৃদ্ধির হতে পারে ৭ শতাংশ। পরামর্শক সংস্থা ডেলয়েট ইন্ডিয়া জানিয়েছে, এ বছর ভারতের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৭ থেকে ৭ দশমিক ২শতাংশ।
নভেম্বরে মাসিক পর্যালোচনার পর ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গ্রামাঞ্চলের চাহিদায় স্থিতিশীলতা এসেছে। একই সঙ্গে শহরের ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে দুই ও তিন চাকার গাড়ি বিক্রি এবং দেশীয় ট্র্যাক্টর বিক্রির প্রবণতা দেখে এই ধারণা করছে ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যাত্রিবাহী গাড়ি বিক্রি অক্টোবর-নভেম্বর মাসে মোট ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে বিমান পরিষেবার পরিসংখ্যান দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই মাসে বিমান পরিবহণে যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে । এতে বোঝা যাচ্ছে, শহরাঞ্চলের মানুষের চাহিদা বেড়েছে।
নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার কমবে বলে মনে করছে ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়। বাজারে সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় মূল্যস্ফীতির সূচক নিম্নমুখী হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এবারের বর্ষায় পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ার প্রভাবে ফলন ভালো হয়েছে। জিডিপির জন্য তা আশাব্যঞ্জক বলে মনে করছে অর্থ মন্ত্রণালয়। চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ৪ শতাংশে নেমে এসেছিল।
বিশ্ববাজারে তেলের দাম আবার কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ভারতের উৎপাদন খাতে গতি এসেছে। এ ছাড়া ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর ভারতের বাজারে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.