বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম ম্যাচেই ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন ইয়াসির আলী রাব্বি ও এনামুল হক বিজয়। দুজনের ১৪০ রানের জুটিতে ভড় করে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ১৯৭ রান সংগ্রহ করেছে দুর্বার রাজশাহী। এর মধ্যে ইয়াসির একাই অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন ৯৪ রানের। ৮ ছক্কা ও ৭টি চারে সাজানো ছিল তার ইনিংস। এ ছাড়া বিজয়ের ব্যাট থেকে এসেছে ৬৫ রানের ইনিংস।
বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে বরিশাল। ১২ রানেই তারা হারিয়ে ফেলে দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও তামিম ইকবালকে। শান্তকে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরিয়েছেন জিসান আলম। আর তামিম শিকার হয়েছেন তাসকিন আহমেদের।
এর আগে এই ম্যাচে টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি দুর্বার রাজশাহীর। দ্বিতীয় ওভারেই আউট হয়েছেন দলটির ওপেনার জিসান আলম। তিনি কাইল মেয়ার্সের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন শূন্য রানে। এরপর ১৩ রান করা মোহাম্মদ হারিস আউট হয়েছেন মেয়ার্সের বলেই তাকে ক্যাচ দিয়ে। মেয়ার্স করেছিলেন স্লোয়ার বল সেই বল সোজা ব্যাটে খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন তিনি বোলারের। এরপর দলটির হাল ধরেন অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ও ইয়াসির আলী।
এই দুজনের জুটি ছাড়িয়ে যায় পঞ্চাশ। ফাহিম আশরাফকে মিড অফ দিয়ে চার মেরে ৪২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন বিজয়। খানিক বাদে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ইয়াসিরও। অবশ্য বেশিদূর এগোতে পারেননি বিজয়। তিনি ফাহিম আশরাফের লাফিয়ে ওঠা বলে উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি ব্যক্তিগত ৬৫ রানে।
এর ফলে ইয়াসিরের সঙ্গে তার জুটি ভেঙেছে ১৪০ রানে। এরপর রায়ান বার্লকে নিয়ে রাজশাহীর রান বাড়াতে থাকেন ইয়াসির। অল্পের জন্য সেঞ্চুরির দেখা পাননি তিনি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৯৪ রানে। শেষ পর্যন্ত বার্ল অপরাজিত থাকেন ৮ রানে।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.