ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ বন্ধে একটি ‘স্পষ্ট ও সমন্বিত’ যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে হামাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান বিন জসিম আল-থানি।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
কাতারের রাজধানী দোহায় শনিবার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে হামাসের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ নেতা খলিল আল-হাইয়া। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান। যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যস্থতা নিয়ে কয়েক মাস ধরে অচলাবস্থা চলে আসছিল। এখন মধ্যস্থতার সঙ্গে প্রকাশ্যে কাতার প্রধানমন্ত্রীর যুক্ত হওয়ার বিষয়টি তার জন্য অস্বাভাবিক ঘটনাই বটে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বৈঠকে গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনার সর্বশেষ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। এ অঞ্চলে চলমান যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে একটি স্পষ্ট ও সমন্বিত চুক্তি নিশ্চিত করতে এ প্রক্রিয়াকে কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়, সে উপায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্রে গত নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়লাভের পর চলতি মাসের শুরুর দিকে কাতারের প্রধানমন্ত্রী আশা ব্যক্ত করে বলেছিলেন, যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ‘গতি’ ফিরেছে। দোহা ফোরামের রাজনৈতিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পর আমরা অনুভব করেছি, গতি ফিরে আসছে।’
কাতারের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভবিষ্যৎ ট্রাম্প প্রশাসন একটি চুক্তিতে উপনীত হতে ব্যাপক উৎসাহ দিয়েছে, এমনকি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার আগেই যাতে সেটা হয়।’
গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের পাশাপাশি কয়েক মাস ধরে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে আরব উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশ কাতার, যদিও তা আলোর মুখ দেখেনি।
এ পরিস্থিতিতে নভেম্বরে মধ্যস্থতার ভূমিকা থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয় দোহা। সে সময় তারা বলেছিল, হামাস ও ইসরায়েল যখন সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা দেখাবে, তখন আবার আলোচনা শুরু হবে। কিন্তু চলতি মাসে হামাস ও ইসরায়েলের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনার আয়োজন করে দোহা।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.