যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত, বহু হতাহতের আশঙ্কা

আজারবাইজান থেকে রাশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করা একটি যাত্রীবাহী বিমান কাজাখস্তানের আকতাউ শহরের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে। বুধবারের এ দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে কাজাখ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমানে থাকা ৬২ যাত্রী এবং ৫ ক্রু সদস্যের মধ্যে ২৭ জন বেঁচে আছেন।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ব্রিটেন ভিত্তিক গণমাধ্যম রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এক ভিডিওতে দেখা যায়, আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের পরিচালিত বিমানটি ভূমিতে আছড়ে পড়ার সময় আগুন ধরে যায় এবং কালো ধোঁয়া উঠতে থাকে। বিমানের অবশিষ্ট একটি অংশ থেকে রক্তাক্ত এবং আহত যাত্রীদের বেরিয়ে আসতে দেখা গেছে। তবে ভিডিওটির সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

মধ্য এশিয়ার দেশ কাজাখস্তানের জরুরি পরিষেবা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলের আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে এবং বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের নিকটস্থ একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের মাঝে তিনটি শিশুও আছে।

আজারবাইজান এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, এমব্রেয়ার ১৯০ মডেলের এই বিমানটি (ফ্লাইট নম্বর জে২-৮২৪৩) বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়ার রাজধানী গ্রোজনিতে যাচ্ছিল। তবে গ্রোজনিতে কুয়াশার কারণে এটি কাজাখস্তানের আকতাউ শহরের প্রায় ৩ কিলোমিটার (১.৮ মাইল) দূরে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়।

কাজাখ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা বিভিন্ন সম্ভাব্য কারণ তদন্ত করছে। এর মধ্যে প্রযুক্তিগত সমস্যা রয়েছে বলে রুশ সংবাদ সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে।

রাশিয়ার বিমান পরিবহন পর্যবেক্ষক সংস্থা জানিয়েছে, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, একটি পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের কারণে জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাইলট।

বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার পর আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ রাশিয়া থেকে দেশে ফিরে আসেন। আজ রাশিয়ায় একটি সম্মেলনে তার যোগ দেয়ার কথা ছিল বলে রাশিয়ার আরআইএ সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে।

চেচনিয়ার ক্রেমলিন-সমর্থিত নেতা রমজান কাদিরভ এক বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর এবং তিনি তাদের দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করবেন।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.