হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস একই বিল অনুমোদন করার কয়েক ঘণ্টা পরেই সিনেটে অনুষ্ঠিত হয় এই ভোট। বিলটির পক্ষে ৮৫ এবং বিপক্ষে পড়েছে ১১ ভোট। এখন এই বিলটি আইনে পরিণত করার জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে বাইডেনের মুখপাত্রের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, সিনেটে পাস হয়ে এলে এই বিল তিনি অনুমোদন করবেন।
ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত মার্কিন সিনেটে পাস হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট চুক্তি। কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থায়নের এ বিল অনুমোদনের মাধ্যমে সরকারি শাটডাউন এড়াল যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৯ সালের পর প্রথমবারের মতো সরকারি শাটডাউনের আশঙ্কার মুখে পড়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকার। খবর সিএনএন।
হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস একই বিল অনুমোদন করার কয়েক ঘণ্টা পরেই সিনেটে অনুষ্ঠিত হয় এই ভোট। বিলটির পক্ষে ৮৫ এবং বিপক্ষে পড়েছে ১১ ভোট। এখন এই বিলটি আইনে পরিণত করার জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে বাইডেনের মুখপাত্রের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, সিনেটে পাস হয়ে এলে এই বিল তিনি অনুমোদন করবেন।
বাজেট চুক্তি বা কেন্দ্রীয় সরকারকে অর্থায়নের বিলটি মধ্যরাতের সময়সীমা পার হওয়ার কিছুক্ষণ পর পাস হয়। এই বিলটি আগামী ১৪ মার্চ পর্যন্ত সরকারি অর্থায়নের মেয়াদ বাড়াবে এবং দুর্যোগে আক্রান্ত রাজ্যগুলোর জন্য ১০০ বিলিয়ন এবং কৃষকদের জন্য ১০ বিলিয়ন ডলার প্রদান করবে। তবে এই বিল ঋণসীমা বাড়াবে না।
আইনপ্রণেতাদের কাছে ফেডারেল সরকারের ঋণের সীমা বাড়ানোর ক্ষমতা রাখার যে দাবি করেছিলেন প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি এ চুক্তিতে। নিজ দলের আইনপ্রণেতাদের ওপর প্রভাব খাটানোয় ট্রাম্পের সীমাবদ্ধতাও প্রকাশ করল এ বিল।
সরকারি সংস্থাগুলোকে অর্থায়ন করার জন্য এই সপ্তাহের শুরুতে আইনপ্রণেতারা সফলভাবে একটি চুক্তির ব্যাপারে আলোচনা করেছিলেন। কিন্তু ট্রাম্প এবং বিলিয়নিয়ার উপদেষ্টা ইলন মাস্ক রিপাবলিকানদের এই চুক্তি প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানানোর পর উদ্যোগটি তখন ভেঙে পড়ে।
সরকারি অর্থায়ন বন্ধ হয়ে গেলে আইন প্রয়োগ থেকে শুরু করে ন্যাশনাল পার্কের কার্যক্রম—সব কিছুই বিঘ্নিত হবে এবং লক্ষাধিক ফেডারেল কর্মীর বেতন বন্ধ হয়ে যাবে। ভ্রমণ সংশ্লিষ্ট একটি বাণিজ্য গোষ্ঠী সতর্ক করেছে, অর্থায়ন না হলে এয়ারলাইন্স, হোটেল এবং অন্যান্য কোম্পানিকে প্রতি সপ্তাহে ১ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে এবং ব্যস্ত ক্রিসমাস মৌসুমে ব্যাপক বিপাকে পড়বে মানুষ।
যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি তহবিলের মেয়াদ শেষ প্রান্তে যাওয়ায় শাটডাউনের আশঙ্কা দেখা দেয়। এ কারণে নতুন কোনো কার্যকর উদ্যোগ না নিলে দেশটির সরকার শাটডাউনের মধ্যে পড়ত। সরকারি তহবিল শেষ হয়ে গেলে আজ শনিবার থেকেই শাটডাউনের আশঙ্কা করা হচ্ছিল।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.