খেলা তখনও শেষ হয়নি, ম্যাচের তখনও কয়েক ওভার বাকি! রস্টন চেজ ও আকিল হোসেন যখন বাংলাদেশের বিপক্ষে রান বের করতে হাঁসফাঁস করছেন তখন বাড়ির পথ ধরেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সমর্থকরা। ৪২ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর এমন চিত্র তো অনুমেয়ই ছিল। চেজ ও আকিল হোসেন মিলে খানিকটা চেষ্টা করলেন তবে তাকে কাজের কাজ হলো না কিছুই। তাদের দুজনের লড়াই কেবল হারের ব্যবধান কমিয়েছে। তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, রিশাদ হোসেন ও শেখ মেহেদীর দুর্দান্ত বোলিংয়ে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৭ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
এমন জয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতে সিরিজ জিতল সফরকারীরা। বিজয় দিবসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে তাদের বিপক্ষে প্রথম জয়ের পর সিরিজ জয়ে চোখ ছিল বাংলাদেশের। ম্যাচের আগের দিন বিসিবির এক ভিডিওতে সেটাই বলেছিলেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। সিরিজ জয়ে তাই ব্যাট হাতে বাঁহাতি ব্যাটার অবদান রাখলেন তাই দারুণভাবে। সৌম্য সরকার, লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিমরা যেখানে দাঁড়াতেই পারছিলেন না সেখানে ১৭ বলে অপরাজিত ৩৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন। তাতে বাংলাদেশের পুঁজি একশ পেরিয়ে ১২৯ রানে থেমেছে।
শামীমের আগে বাংলাদেশের হাল ধরেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকের আলী অনিক। সেন্ট ভিনসেন্টের লো স্কোরিং উইকেটে বাকি কাজটা করতো হতো সফরকারী বোলারদের। প্রথম দুই ওভারে সেটা করতে না পারলেও তাসকিনের হাত ধরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চেপে ধরেন লিটন দাসরা। তৃতীয় ওভারে বল হাতে নিয়েই ব্রেন্ডন কিং ও আন্দ্রে ফ্লেচারকে ফেরান তাসকিন। সেখান থেকেই বাংলাদেশের জয়ের গল্প শুরু। এরপর একে একে যোগ দিলেন বাকিরা। বাংলাদেশের দাপুটে বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেমেছে মাত্র ১০২ রানে।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.