টি-টোয়েন্টিতে টপ অর্ডারের রান না পাওয়ার ভোগান্তিটা বাংলাদেশের অনেক দিনের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচেও ভিন্ন কিছু ঘটেনি। লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকাররা কেউ নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। মেহেদী হাসান মিরাজ, জাকের আলী অবশ্য সফরকারীদের পথ দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন। তবুও বাংলাদেশ একশ পার করতে পারবে কিনা সেটার নিশ্চয়তা ছিল না। যদিও শামীম হোসেন পাটোয়ারীর শেষের ঝড়ে ১২৯ রানের পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ। সমান দুটি করে ছক্কা ও চারে ১৭ বলে অপরাজিত ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন শামীম।
এক চারে হাসান মাহমুদের করা প্রথম ওভারে ৭ রান এনেছিলেন ব্রেন্ডন কিং ও জনসন চার্লস। পরের ওভারে শেখ মেহেদী হজম করেছেন ১২ রান। তাতে দুই ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান বিনা উইকেটে ১৯। এমন অবস্থায় তৃতীয় ওভারে তাসকিন আহমেদের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক লিটন। বোলিংয়ে এসেই প্রথম বলে কিংকে ফিরিয়েছেন তাসকিন। ডানহাতি পেসারের পঞ্চম স্টাম্পের বলে সামনের পায়ে ভর করে ডিফেন্স করতে গিয়ে এজ হয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন।
ওভারের পঞ্চম বলে আন্দ্রে ফ্লেচারের উইকেটও তুলে নিয়েছেন তাসকিন। বাংলাদেশের পেসারের লেংথে পড়ে বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে খোঁচা দিতে গিয়ে উইকেটের পেছনে লিটনের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়েছেন রানের খাতা খুলতে না পারা ফ্লেচার। এভিন লুইসের চোটে দলে ফিরলেও প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে সফল হতে পারেননি ডানহাতি এই ব্যাটার।
প্রথম ওভারে এক চার ও এক ছক্কায় ১২ রান দিয়েছিলেন শেখ মেহেদী। সেই ওভারে ডানহাতি অফ স্পিনারকে ছক্কা ও চার মেরেছিলেন জনসন চার্লস। মেহেদীর পরের ওভারের প্রথম বলেও চার মারেন ডানহাতি এই ব্যাটার। তবে ওভারের চতুর্থ বলে চার্লসকে ফিরিয়েছেন মেহেদী। অ্যাক্রোস দ্য লাইনে খেলতে গিয়ে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন ১৪ রান করা চার্লস। রিভিভ নিলেও শেষ পর্যন্ত রক্ষা হয়নি তাঁর।
শেখ মেহেদীর বিপক্ষে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে পারছিলেন না নিকোলাস পুরান। ডানহাতি অফ স্পিনারের প্রথম চার বল ডট দেয়া বাঁহাতি ব্যাটার পঞ্চম বলে অ্যাক্রোস দ্য লাইনে খেলতে চেয়েছিলেন। তবে এজ হয়ে স্লিপে থাকা সৌম্য সরকারকে ক্যাচ দিয়েছেন ৫ রান করা পুরান। প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও পুরানকে আউট করেছিলেন মেহেদী।
তানজিম হাসান সাকিবের বিপক্ষে রিভিউ নিয়ে জীবন পেয়েছিলেন রস্টন চেজ। তবে আরেক ব্যাটার রোমারিও শেফার্ডকে ফিরিয়ে উইকেট পাওয়ার আক্ষেপ মেটান ডানহাতি এই পেসার। তানজিমের শর্ট অব লেংথ ডেলিভারিতে পুল করতে চেয়েছিলেন শেফার্ড। তবে বল গ্লাভসে লেগে চলে যায় স্লিপে থাকা তানজিদ হাসান তামিমের হাতে। শেফার্ডের বিদায়ে মাত্র ৪২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপদে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
আগের ওভারে তানজিম হাসান সাকিবের গুড লেংথ ডেলিভারিতে ফিরতে পারতেন রভম্যান পাওয়েল। ডানহাতি পেসারের লাফিয়ে ওঠা ডেলিভারিতে স্লিপে ক্যাচ দিলেও সেটা লুফে নিতে পারেননি সৌম্য সরকার। উল্টো আঙুলে ব্যথা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন তিনি। তবে পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে পাওয়েলকে ফিরিয়েছেন হাসান মাহমুদ। তরুণ এই পেসারের মিডল ও লেগ স্টাম্পের হার্ড লেংথ ডেলিভারিতে এজ হয়েছেন। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দাঁড়িয়ে থাকা মেহেদী হাসান মিরাজ সামনের দিকে ড্রাইভ দিয়ে দারুণ এক ক্যাচ নিয়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক ফিরেছেন ৬ রানে।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.