দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিএনপি নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের ১০ বছরের কারাদণ্ড বাতিলে হাইকোর্টের রায় রহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে তার স্ত্রী শাহিনা ইয়াসমিনের তিন বছরের কারাদণ্ড বাতিলের রায়ও বহাল রাখা হয়েছে।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের করা আপিলের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বিভাগ এ রায় দেন।
আদালতে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ফিদা এম কামাল। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আসিফ হোসেন।
এর আগে ২০০৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি দুদকের নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে সম্পদের হিসাব দাখিল না করায় ওই বছরের ৮ মে দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলা করেন। মামলায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে ১০১ কোটি ৭৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩৬৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
২০০৮ সালের ২৭ মার্চ অবৈধভাবে ১১১ কোটি ৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মামুনকে ১০ বছর ও তার স্ত্রীকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন বিশেষ আদালত। মামুন ও শাহিনার করা পৃথক দুটি আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০১২ সালের ৩০ জুলাই মামলার অভিযোগ থেকে তাদের খালাস দেন এবং তাদের বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করেন। এরপর হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আপিল বিভাগে পৃথক দুটি আপিল করে দুদক।
দুদকের আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে মামুন ও শাহিনার আপিলের পুনরায় শুনানি করতে বলে। পরে মামুন ও শাহিনা ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আপিল বিভাগে পৃথক দুটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করেন।
মামুনের আইনজীবী সাব্বির হামজা চৌধুরী বলেন, হাইকোর্ট মামুনকে অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছে, কারণ দুদকের তৎকালীন সচিব দেলোয়ার হোসেন, যিনি মামুনকে ২০০৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করে সম্পদের বিবরণী চেয়েছিলেন। যদিও এটি করার তার অনুমতি ছিল না। ওই অবৈধ নোটিশের ভিত্তিতে মামুনের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতির মামলাটি বেআইনি প্রমাণিত হয়। কোনো প্রজ্ঞাপন জারি না করেই শাহিনা ইয়াসমিনকে মামলায় জড়ানোর অভিযোগে হাইকোর্ট তাকে খালাস দিয়েছে।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.