আটক বাংলাদেশি নাবিকদের ছবি প্রকাশ করেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড

বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার শেষ প্রান্তে মাছ আহরণের সময় আটক ৭৮ বাংলাদেশি নাবিক ও জেলেসহ ২টি ট্রলারের ছবি প্রকাশ করেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে সংস্থাটির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ ও এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) এ-সংক্রান্ত মোট তিনটি ছবি প্রকাশ করে ভারতীয় কোস্টগার্ড।

ছবিতে দেখা যায়, আটক ট্রলারের নাবিকেরা নৌযানের ডেকের ওপর হাত মাথার পেছনে রেখে হাঁটু গেড়ে বসে আছেন। নাবিকদের পেছনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় ভারতীয় কোস্টগার্ডের সদস্যদের। আরেকটি ছবিতে দেখা যায়, সাগরে চলছে বাংলাদেশের দুটি ট্রলার। তৃতীয় ছবিতে ছিল জেটিতে ট্রলার দুটি নিয়ে আসার দৃশ্য।

ভারতীয় কোস্টগার্ডের ফেসবুক পেজের এক পোস্টে উল্লেখ করা হয়, ভারতীয় সমুদ্রসীমায় মৎস্য আহরণের অভিযোগে এক অভিযানে দুইটি ট্রলারসহ ৭৮ জন নাবিককে আটক করা হয়েছে। নাবিকসহ ট্রলার দুটি প্যারা দ্বীপের কাছে নেওয়া হয়েছে।

আটক বাংলাদেশি দুটি নৌযান হলো- এফভি লায়লা-২ ও এফবি মেঘনা-৫। এফভি লায়লা-২ ট্রলারটি এস আর ফিশিং নামের প্রতিষ্ঠানের। অপর দিকে এফভি মেঘনা-৫ নামের ট্রলারটি সিঅ্যান্ডএফ অ্যাগ্রো লিমিটেডের মালিকানাধীন।

ট্রলার দুটির মালিক প্রতিষ্ঠানের ভাষ্য, ট্রলার দুটি বাংলাদেশের জলসীমায় খুলনার হিরণ পয়েন্টে মাছ ধরছিল। ওই অবস্থায় সোমবার সকালে ভারতীয় কোস্টগার্ড জব্দ করে। ট্রলার দুটি ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে মালিক কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে নৌপরিবহন অধিদপ্তরসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বলেন, ঘটনার পর বাংলাদেশের কোস্টগার্ডসহ সরকারি সংস্থাগুলো ভারতের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। ট্রলার দুটি উদ্ধারে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। নাবিকেরা ভালো আছেন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় মাছ আহরণের সময় ৭৯ নাবিকসহ দুটি নৌযান জব্দ করে নিয়ে যায় ভারতীয় কোস্টগার্ড। খুলনার হিরণ পয়েন্ট এলাকার অদূরে সোমবার দুপুরে তারা ট্রলারসহ নাবিকদের ধরে নিয়ে যায়। এর দুদিনের মাথায় ৭৮ বাংলাদেশির ছবি প্রকাশ করল।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.