৩ নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, আরিচা-কাজিরহাট ও শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর ফলে ঘাট এলাকায় শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারের অপেক্ষায় আছে।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী ও নরসিংহপুর ফেরিঘাটের উপ-ব্যবস্থাপক মো. ইকবাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নদীতে কুয়াশার তীব্রতা বাড়তে শুরু করে। কুয়াশার কারণে চ্যানেলের মার্কিং পয়েন্ট অস্পষ্ট হয়ে গেলে নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে রাত ১২টা ৪০ মিনিট থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। একই কারণে রাত সাড়ে ১২টার দিকে আরিচা-কাজিরহাট নৌপথেও ফেরি চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। এর ফলে দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে বাংলাদেশ হ্যাচারিজ এলাকা পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকায় পারাপারের জন্য বাস ও ট্রাক আটকে রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, ঘনকুয়াশায় মধ্যরাত ১২টা ৪০ মিনিট থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেই। তবে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাটে কিছু ট্রাক আটকে আছে, বর্তমানে এই নৌরুটে ছোট বড় মিলে মোট ১৭টি ফেরি থাকলেও ১২টি ফেরি যাত্রীদের পারাপারে নিয়োজিত রয়েছে এবং তিনটি ফেরিঘাট ঘাট চালু আছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

অপরদিকে নরসিংহপুর ফেরিঘাট সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দিনগত রাত থেকে নদী ও আশপাশের এলাকাজুড়ে প্রচণ্ড কুয়াশা দেখা দেয়। ধীরে ধীরে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ায় নদীপথে দুর্ঘটনা এড়াতে ভোর ৫টা থেকে এই নৌরুটে সাময়িকভাবে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বিআইডব্লিউটিসি নরসিংহপুর ফেরিঘাটের উপ-ব্যবস্থাপক মো. ইকবাল হোসেন বলেন, নদীপথে কুয়াশার কারণে সাময়িকভাবে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে কোনো ফেরি নদীতে আটকা পড়েনি। কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করা হবে।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.