আওয়ামী লীগ আমলে বঞ্চিত দাবি করে আবেদন করা ১ হাজার ৫৪০ জনের মধ্যে ৭৬৪ জনকে উপসচিব, যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতির সুপারিশ করেছে সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খানের নেতৃত্বাধীন পদোন্নতিবঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনা কমিটি-২০২৪।
মঙ্গলবার কমিটির পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সুপারিশ জমা দেওয়া হয়েছে। কমিটির কাছে মৃত্যুবরণকারী কর্মকর্তাদের পক্ষে তাদের পরিবারের সদস্যদের করা ১৯টি আবেদনসহ মোট ১৫৪০টি আবেদন জমা পড়েছিল। প্রাপ্ত আবেদনগুলোর মধ্যে ১৩টি আবেদন বিভিন্ন কারণে কমিটির আওতাবহির্ভূত ছিল। ফলে কমিটি কর্তৃক পর্যালোচনাযোগ্য আবেদন ছিল ১৫২৭টি। এসব আবেদন যাচাই-বাছাই করার জন্য কমিটি মোট ২৮টি সভা করে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে সুপারিশ প্রণয়ন করেছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সচিব পদে ১১৯ জন, গ্রেড-১ (সচিব মর্যাদা) পদে ৪১ জন, অতিরিক্ত সচিব পদে ৫২৮ জন, যুগ্মসচিব পদে ৭২ জন এবং উপসচিব পদে ৪ জন কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি প্রদান করা যেতে পারে।
পদোন্নতির জন্য সুপারিশকৃত ৭৬৪ জনের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, কমিটি ৯ জন কর্মকর্তাকে ৪ ধাপ, ৩৪ জন কর্মকর্তাকে ৩ ধাপ, ১২৬ জন কর্মকর্তাকে ২ ধাপ এবং ৫৯৫ জন কর্মকর্তাকে ১ ধাপ পদোন্নতির সুপারিশ করেছে। ৭৬৩ জন কর্মকর্তাকে কমিটি পদোন্নতির সুপারিশ করেনি। তাদেরকে কেন পদোন্নতির সুপারিশ করা হয়নি প্রতিটি ক্ষেত্রে তার সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর সাবেক অর্থসচিব ও বিশ্বব্যাংকে বাংলাদেশে সাবেক বিকল্প নির্বাহী পরিচালক জাকির আহমেদ খানকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট পর্যন্ত চাকুরিতে নানাভাবে বঞ্চনার শিকার এবং এই সময়ের মধ্যে অবসরে যাওয়া কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনা করে দরকারি সুপারিশ প্রণয়ন করবে। কমিটি নির্ধারিত ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন পেশ করায় প্রধান উপদেষ্টা তাদের ধন্যবাদ জানান। প্রতিবেদন পেশ করার সময় প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.