দুর্নীতির মামলায় টেকনাফ থানার বরখাস্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের সাজাপ্রাপ্ত স্ত্রী চুমকি কারণকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে চুমকি কারণের কারামুক্তিতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
রোববার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে চুমকির পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন ও খাজা তানভীর আহমেদ।
২০২০ সালের ২৩ আগস্ট অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে তিন কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়। এরপর এই মামলায় ২০২২ সালের ২৭ জুলাই অন্য একটি হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপকে ২০ বছর ও তার স্ত্রী চুমকিকে ২১ বছর কারাদণ্ড দেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত।
মামলার শুরু থেকে চুমকি পলাতক থাকলেও গত বছরের ২৩ মে এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণের শেষ দিন তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তখন থেকে চুমকি কারাগারে আছেন।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.