অঙ্গহানি হওয়া শিশুদের সংখ্যার নিরিখে ইসরাইলি গণহত্যার শিকার গাজা উপত্যকা বর্তমানে সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, বিশ্বের অন্য যেকোনো স্থানের তুলনায় গাজায় সর্বোচ্চ সংখ্যক পঙ্গু শিশু বাস করছে। তিনি গাজার পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ ও সর্বনাশী’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
এসব শিশু ইসরাইলি পাশবিক হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে গেলেও চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছে। গাজায় মানবিক ত্রাণ তৎপরতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে মিশরের রাজধানী কায়রোয় অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে গুতেরেসের পক্ষ থেকে পাঠানো একটি বাণী পড়ে শোনানো হয়।
এতে তিনি বলেন, গাজার বহু শিশু হাত-পা হারিয়েছে এবং তাদের অনেকের অপারেশন অ্যানেস্থেশিয়া ছাড়াই (বেহুশ না করেই) করতে হয়েছে। জাতিসংঘের প্রধান ইসরাইলের গণহত্যা অভিযানে নিহতদের বিপর্যয়কর সংখ্যা তুলে ধরে এ ব্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।
গুতেরেস সতর্ক করে দিয়ে বলেন, গাজায় ফিলিস্তিনিরা যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন তা ‘সবচেয়ে গুরুতর আন্তর্জাতিক অপরাধ’ হতে পারে। গাজায় একদিকে অপুষ্টি প্রবল অন্যদিকে দুর্ভিক্ষ আসন্ন। আরেক দিকে সেখানকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
ইসরাইল গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশে কঠোরভাবে বাধা দিচ্ছে বলেও জানান জাতিসংঘ মহাসচিব। গাজার ২৩ লাখ জনগোষ্ঠীর জন্য যে পরিমাণ ত্রাণ পৌঁছা দরকার সে তুলনায় ‘অতি সামান্য’ ত্রাণ পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে বলে জানান গুতেরেস।
তিনি ইসরাইলকে সরাসরি দায়ী না করে বলেন, রাজনৈতিক কারণে গাজায় ত্রাণ পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না এবং সেখানে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘিত হচ্ছে।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক ত্রাণ সংস্থা আনরোয়ার হিসাব অনুযায়ী, গত এক মাসে গাজায় প্রতিদিন গড়ে মাত্র ৬৫টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে; অথচ যুদ্ধ শুরুর আগে সেখানে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ ট্রাক ত্রাণ প্রবেশ করত। পার্সটুডে
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.