বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যু নিয়ে ব্যাপক প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। গণমাধ্যমের একটি অংশ, বিশেষ করে ভারতীয় মিডিয়া এই প্রচারণায় জড়িত। এর বাইরেও অনেক মিডিয়া ভারতীয় মিডিয়াকে ভিত্তি করে অপতথ্য ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে কূটনীতিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। পরে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, হিন্দু সমাজের পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের মনে হয়েছিল ভুল ধারণা যেন সৃষ্টি না হয়, ভুল ধারণা সৃষ্টি করার সুযোগ আছে। বিশেষ করে মিডিয়া, কোন দেশের মিডিয়া বলছি না। তারা যতটুকু পারা যায় খারাপ পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। কাজেই আমাদের মনে হয়েছে কূটনীতিক যে প্রতিনিধিরা আছেন তাদের ব্যাখ্যা দেওয়া প্রয়োজন। যেন তারা প্রকৃত অবস্থা বুঝতে পারে। তাদের কিছু মেকানিজম আছে, কিন্তু আমরা আমাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছি। এখানে প্রায় সবাই এসেছে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, আমরা বলেছি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সমাজের অংশ। সরকার এটি বজায় রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। কোনো মানুষ তার ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে নিগৃহীত হবে না সেটা আমরা নিশ্চিত করব। সরকার এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখিয়েছে গত চারমাসে। যদিও অনেক মাল-মসলা ছিল বেশি গণ্ডগোল হওয়ার মতো। সেটি আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। দুর্গাপূজার মতো উৎসব শান্তিপূর্ণ হয়েছে। এক-দুইটি ঘটনা যে ঘটেনি তেমনটা তো না। সেগুলো প্রতি বছরই দুই-একটা ঘটে।
মিডিয়া ছাড়াও ভারতের সরকার বা রাজনীতিবিদদের কোনো কড়া বার্তা দিতে চান কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা যে বার্তাটা দিতে চাই এই সরকার কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক কার্যকলাপ বরদাশত করবে না। সেটা হিন্দু বা মুসলিম বলে কথা নয়। আমরা সবাইকে সমান চোখে দেখবো। এই বার্তাটি আমরা সবাইকে দিতে চেয়েছি। এ ব্যাপারে আইন তার গতিতে চলবে। যদি কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে তাদের শক্ত হাতে দমন করা হবে। এই বার্তাটি সবার কাছে গেছে। সরকারিভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখলে সেটি সরকারিভাবেই প্রতিবাদ জানাই। বাকিটুকু সাধারণভাবেই বলেছি।
তিনি বলেন, আজকের ব্রিফিংয়ে ভারতকে নিয়ে সেভাবে কিছু বলিনি। আমি মিডিয়ার সম্পর্কে বলেছি। বৈঠকে ভারতীয় দূতাবাসের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসূচক/ এইচএআই



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.