নিখোঁজ ইসরায়েলির মরাদেহ উদ্ধার

সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিখোঁজ ইসরায়েলি মলদোভার নাগরিক জভি কোগানের মরদেহ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে ইসরায়েল। একই সঙ্গে এ ঘটনাকে ইহুদিবিরোধী ‘সন্ত্রাস’ উল্লেখ করে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশটি।

রোববার ২৪ নভেম্বর) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যৌথ বিবৃতিতে সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে কোগান নিখোঁজ ছিলেন। তিনি ইহুদি ধর্ম বিশেষজ্ঞ (রাব্বি) ছিলেন। এ ছাড়া অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় সংগঠন চাবাদেরও সদস্য ছিলেন তিনি।
যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরাপত্তা সার্ভিসের লোকজন পারস্য উপসাগরীয় দেশটিতে তাঁর মরদেহ খুঁজে পেয়েছে। তবে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জভি কোগানকে হত্যা ইহুদিবিরোধী নিকৃষ্ট সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। সেখানে আরও বলা হয়, ‘এই হত্যার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে এবং জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনতে ইসরায়েল তার ক্ষমতার সর্বোচ্চটুকু কাজে লাগাবে।’

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর গতকাল শনিবার বলেছে, ইসরায়েল সংযুক্ত আরব আমিরাতে কোগানের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি তদন্ত করছে। তারা এটিকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলে মনে করছে।

ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট ইসাক হারজোগ বলেন, ইহুদিবিরোধী শত্রুরা কতটা অমানবিক, তা এই জঘন্য বিদ্বেষমূলক হামলা স্মরণ করিয়ে দেয়। আর দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্টে এই হত্যাকাণ্ডকে ‘কাপুরুষোচিত এবং ইহুদিবিরোধী ঘৃণ্য সন্ত্রাসী অপরাধ’ বলে উল্লেখ করেছেন।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.