লেবাননের প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ গত ২৪ ঘন্টায় দ্বিতীয় বারের মতো ইসরাইলের সেনাবাহিনীর গোলানি ব্রিগেডের কমাণ্ড সদর দফতরকে লক্ষ্য করে বেশ কিছু আত্মঘাতি ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেছে যে তারা ড্রোন দিয়ে দখলকৃত শহরের উত্তরে শ্রাগা ঘাঁটিতে গোলানি ব্রিগেডের কমান্ড সদর দফতরকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। লেবাননের আল-মানার নেটওয়ার্কের উদ্ধৃতি দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে যে লেবাননের দক্ষিণ-পূর্বে আল খৈয়াম এলাকায় হিজবুল্লাহ ও ইহুদিবাদী সামরিক বাহিনীর মধ্যেও ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছে এবং হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা ইহুদিবাদীদের একটি মেরকাভা ট্যাঙ্ক লক্ষ্যবস্তু করেছে। এতে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর কিছু সদস্য আহত হয়েছে।
ইসরাইলি মিডিয়াও দখলকৃত অঞ্চলের উত্তরে বেশ কয়েকটি ইহুদিবাদী বসতিতে হিজবুল্লাহর ড্রোন অনুপ্রবেশের খবর দিয়েছে।
লেবাননের সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থান করা ইসরাইলি শাসক গোষ্ঠীর সেনাবাহিনীর ব্যারাক গুলোকে টার্গেট করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে আল-মিনারেহ,আল মালকিয়েহ,সাসা,কারিয়াত,শেমোনেহ,জারেত, শুমিরা,রামোত নাফতালি, ইয়ারিন এবং দুফিফ। এছাড়া, লেবাননের লেবাননের প্রতিরোধের যোদ্ধারা খাইবার অভিযানের আওতায় লেবানন সীমান্তে অবস্থিত ইসলাইলি নৌ বাহিনীর কৌশলগত সামুদ্রিক নজরদারি এবং উত্তর উপকূলে নিয়ন্ত্রণ ঘাঁটিসহ অধিকৃত ফিলিস্তিনের কিছু অংশে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে।
অন্যদিকে,লেবাননের হিজবুল্লাহ দক্ষিণ লেবাননের সিদা শহরে ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর একটি যুদ্ধবিমানকে প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।
২০২৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বন থেকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী দক্ষিণ লেবাননের বিভিন্ন অঞ্চলে বড় ধরনের হামলা শুরু করেছে এবং এখনো তা অব্যাহত রয়েছে। লেবাননের হিজবুল্লাহ দেশটির বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে ইসরাইলের হামলার মুখে চুপ করে বসে থাকেনি। তারা দখলকৃত অঞ্চলের উত্তরে ইহুদিবাদী সেনাবাহিনীর অবস্থানে অসংখ্য অভিযান চালিয়েছে। পার্সটুডে
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.