ভেনিজুয়েলার মাঠে গিয়ে ড্র করে আসা ব্রাজিল ঘরের মাঠেও প্রত্যাশিত জয় পেল না। এবার অবশ্য প্রতিপক্ষ ছিলো শক্তিশালী উরুগুয়ে। সর্বশেষ কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়ের কাছে পেনাল্টিতে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল ব্রাজিলকে। সেই হারের প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল সেলেসাওরা। তবে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
বুধবার সকালে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ব্রাজিল-উরুগুয়ের ম্যাচ শেষ হয়েছে ১-১ সমতায়। অপরদিকে পেরুকে ১-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মূল পর্বের আরও কাছে চলে গেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। যদিও সর্বশেষ ম্যাচে প্যারাগুয়ের কাছে হারের ধাক্কা খেয়েছিল আর্জেন্টিনা।
বুয়েন্স এইরেসে প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। এই অর্ধে স্বাগতিকদের হয়ে আলভারেজ গোলের কাছে গেলেও সেটা আঘাত করে বারে। ম্যাকঅ্যালিস্টারও হেড করে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু লক্ষ্যে রাখতে পারেননি শট। ম্যাচের ভাগ্য বদলে যাওয়া মুহূর্তটির জন্ম নেয় বিরতির দশ মিনিট পর। যার কারিগর ছিলেন লিওনেল মেসি। গোল মুখে লাউতারো মার্টিনেজকে দুর্দান্ত ক্রস দেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। সেই ক্রস থেকেই অসাধারণ ভলিতে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেছেন ইন্টার মিলান তারকা। যা ছিল দেখার মতো। ৫৫ মিনিটে বক্সের বাম প্রান্তে থাকা মেসিকে ঘিরে ধরেছিলেন কয়েকজন পেরু ডিফেন্ডার। বোঝাই যাচ্ছিল আর্জেন্টাইন তারকাকে সামনে অগ্রসর হতে দিতে চান না তারা। কিন্তু ৮বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী উপায় খুঁজে নেন মুহূর্তেই। ডান দিকে ভাসানো ক্রস দিলে শূন্যে লাফিয়ে দর্শনীয় এক গোল করেন লাউতারো মার্টিনেজ। তাতে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের তালিকায় ডিয়েগো ম্যারাডোনার পাশে বসেছেন ইন্টার মিলান স্ট্রাইকার। তার গোল সংখ্যা এখন ৩২টি। স্বাগতিক দল বল দখলে এগিয়ে ছিল ৭৩.৬ শতাংশ। কিন্তু লক্ষ্যে শট ছিল তিনটি। অপর দিকে তলানির দল পেরু কোন শট-ই লক্ষ্যে রাখতে পারেনি।
অপরদিকে ব্রাজিল-উরুগুয়ে দুই দলই সাম্প্রতিক সময়ে সমশক্তির, এই ম্যাচের স্কোরলাইনেও সেই ছাপ। তবে ম্যাচে মূলত এদিন ব্রাজিলেরই প্রাধান্য ছিল। ৬২ শতাংস বল পায়ে রেখে প্রতিপক্ষের গোলে ১৮টি শট নেয় তারা, যার তিনটা কেবল লক্ষ্যে ছিলো। ম্যাচের একদম শুরুতেই তিন মিনিটে সুযোগ পেয়েছিলেন ভিনিসিয়ুস। তবে তিনি বল মারেন বাইরে। ২১ মিনিটে ফাকুন্দো পেলেস্ট্রির উরুগুয়েকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ হারান। গোলবিহীন প্রধামার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিলকে হতাশ করেন সাভিনিয়ো। ম্যানচেস্টার সিটি তারকা বক্সে রাখতে পারলে তখনই এগিয়ে যেতে পারত দরিভাল জুনিয়রের দল।
খেলার ধারার বিপরীতে ৫৫ মিনিটে গোল করে বসে উরুগুয়ে। ডি-বক্সের বাইরে থেকে ক্ষিপ্র গতির শটে গোল পেয়ে যান রিয়াল তারকা ভালবার্দে। স্তব্ধ গ্যালারিকে ৭ মিনিট পরই জাগান গারসন। তিনিও দূরপাল্লার শটেই বল জড়ান জালে এরপর একাধিক সুযোগ পেয়ে তাকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় ব্রাজিলের আক্রমণ ভাগ। এই ড্রয়ে দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চলের বাছাইপর্বে টেবিলের পাঁচে নেমে গেল ব্রাজিল। ১২ ম্যাচে ৫ জয়ে দরিভাল জুনিয়রের দলের পয়েন্ট ১৮। সমান ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে উরুগুয়ে। ১২ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.