সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩২ বছর নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যান্সিয়াল করপোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়। যেহেতু সংসদ ভেঙে যাওয়া অবস্থায় রয়েছে এবং রাষ্ট্রপতির কাছে তা সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে যে, আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান রয়েছে। সেজন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি নিচের অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করলেন।
এই প্রজ্ঞাপনে সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা- স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যান্সিয়াল করপোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থায় সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ অধ্যাদেশ, ২০২৪ নামে অভিহিত হবে। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণের দাবি উঠলে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছিল। ওই কমিটি সুপারিশ করেছিল, চাকরিতে প্রবেশের সময়সীমা ৩৫ বছর করা যেতে পারে। পরবর্তীতে উপদেষ্টা পরিবষদের বৈঠকে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সময়সীমা ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩২ বছর নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত হয়। ওই সিদ্ধান্তের আলোকে আজ আলোচিত প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়েছে।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.