স্বাস্থ্য ও গণমাধ্যম খাত সংস্কার কমিশনসহ পাঁচ সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করেছে সরকার। অন্য কমিশনগুলো হলো, শ্রম সংস্কার কমিশন, নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন, স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্যসেবাকে জনমুখী, সহজলভ্য ও সর্বজনীন করতে অধ্যাপক একে আজাদ খানকে প্রধান করে ১২ সদস্য বিশিষ্ট স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন- জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য ইনফরমেটিক অধিদফরের অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জাকির হোসেন, পথিকৃৎ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক লিয়াকত আলী, গাইনোকলজিস্ট অধ্যাপক ডা. সায়েবা আক্তার, শিশু স্নায়ুতন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ডা. নায়লা জামান খান, সাবেক সচিব এম এম রেজা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চল) অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক, আইসিডিডিআরবি’র ডা. আজহারুল ইসলাম, স্কয়ার হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন, গ্রীন লাইফ সেন্টার ফর রিউম্যাটিক কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চের চিফ কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, আইসিডিডিআর,বি’র শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য বিভাগের ডা. আহমেদ এহসানুর রাহমান এবং বিজ্ঞানী ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী উমায়ের আফিফ।
এছাড়া সাংবাদিক কামাল আহমেদকে প্রধান করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের ১০ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ইনিস্টিউটে অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) নির্বাহি পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদকে প্রধান করে ১০ সদস্যের শ্রম সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর তোফায়েল আহমেদকে প্রধান করে আট সদস্যের স্থানীয় সংস্কার কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১০ সদস্যের নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান করা হয়েছে নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শিরীন পারভিন হককে।
আদেশে বলা হয়, কমিশন অবিলম্বে এর কার্যক্রম শুরু করবে এবং সংশ্লিষ্ট সব মতামত বিবেচনা করে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে প্রস্তুত করা প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করবে। কমিশনের কার্যালয় সরকারের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।
আরও জানানো হয়, কমিশনের প্রধান ও সদস্যরা সরকার নির্ধারিত সরকারি পদমর্যাদা, বেতন বা সম্মানী ও সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে কমিশন প্রধান বা কোনও সদস্য অবৈতনিক হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে চাইলে বা সুযোগ-সুবিধা নিতে না চাইলে তা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন করতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দফতর/সংস্থা কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সরবরাহসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেবে। কমিশন প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যক্তিকে কমিশনের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এ কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা দেবেন।
অর্থসূচক/ এইচএআই



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.