বর্তমান সংস্কার ভাবনায় সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের দাবি

বিশ্বে প্রতিদিন গড়ে এক হাজারের বেশি শিশু ও তরুণ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। বাংলাদেশে একদিনে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় প্রায় ১৪ জন। তবে এ মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য। জাতিসংঘ নির্ধারিত নিরাপত্তা কৌশল অনুসরণ করে সড়কে মৃত্যুর এ হার কমানো সম্ভব বলে ‘ওয়ার্ল্ড ডে অব রিমেম্বারেন্স ফর রোড ট্রাফিক ভিক্টিমস’ উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বলা হয়।

রবিবার (১৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়ে মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় বলা হয়, ‘সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণের জন্য সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন প্রয়োজন। অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন সেক্টরে সংস্কার আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নও জরুরি।’

বিআরটিএ চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী ও গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর ড. মো. শরিফুল আলম।

খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী বলেন, ‘আমাদের দেশে সড়কে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। তবে সড়কে প্রাণহানি ঘটছে এটা সত্যি। উন্নত দেশের মতো জাতিসংঘ স্বীকৃত নিরাপত্তা কৌশল অনুসরণ করে সড়ক নিরাপত্তা আইন করা প্রয়োজন। তাহলে সড়কের মৃত্যু প্রতিরোধ করা যাবে।’

ড. শরিফুল আলম বলেন, ‘সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ করতে হলে প্রথমেই দুর্ঘটনায় প্রাণহানির প্রকৃত সংখ্যা উদ্ঘাটন করতে হবে। সড়ক নিরাপদ করতে আলাদা করে সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা জরুরি।

সভাপতির বক্তব্যে বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘বর্তমান সংস্কার ভাবনায় পৃথক সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের ব্যাপারে বিআরটিএর ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। সড়ক নিরাপদ করতে সবার একযোগে কাজ করতে হবে। আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সবাইকেই সচেতন হতে হবে।’

অর্থসূচক/ এইচএআই

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.