ভারতের মণিপুর রাজ্যে দুই মন্ত্রী ও তিন বিধায়কের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষোভকারীরা। জিরিবামের ত্রাণ শিবির থেকে অপহৃক তিন মহিলা ও তিন শিশুর মরদেহ উদ্ধারের পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠী।
শনিবার রাজ্যের দুই মন্ত্রী ও তিন বিধায়কের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে ক্ষুব্ধ জনতা। উত্তেজিত জনতার একটি অংশ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী সাপাম রঞ্জনের লামফেলের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন বলে জানিয়েছেন এক সিনিয়র কর্মকর্তা। অপরদিকে ইম্ফালের পশ্চিম বিভাগের সাগোলবান্দে বিজেপির বিধায়ক আরকে ইমোর বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। আরকে ইমো মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিংয়ের মেয়ের জামাই। এছাড়া বিক্ষোভকারীরা স্বতন্ত্র বিধায়ক সাপাম নিশিকান্ত সিংয়ের মালিকানাধীন একটি পত্রিকায় ভাঙচুর চালান।
মন্ত্রী-বিধায়কদের বাড়িতে হামলার পর মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের বাড়িতেই হামলার চেষ্টা চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় দরজা ভেঙে জোর করে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারী জনতা। পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না যায় তার জন্য তড়িঘড়ি রাজ্যের সাত জেলায় কার্ফু জারি করেছে এন বীরেন সিংয়ের সরকার। সেই সঙ্গে গুজব ছড়ানো রুখতে ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ রাখা হয়েছে।
রোববার (১৭ নভেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
এক বছরের বেশি সময় আগে কুকি ও মেইত উপজাতির মধ্যে সাম্প্রতিক দাঙ্গা শুরু হয়। শেষ কয়েক মাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও রাজ্যটি আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। মূলত উপজাতিদের জন্য নির্ধারিত কোটা নিয়ে এই সংঘাতের সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি পুলিশের বিশেষ শাখার সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে সন্দেহভাজন ১০ কুকি বিদ্রোহী নিহত হলে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। পার্সটুডে
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.