ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনকে জো বাইডেনের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইলের গণহত্যা বন্ধে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।
গতকাল আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
নির্বাচনে বিজয়ের পর দেয়া ভাষণে তিনি বলেন, তিনি সমস্ত যুদ্ধের অবসান ঘটাবেন। এছাড়া ট্রাম্প সবসময়ই দাবি করে আসছেন- যদি তিনি প্রেসিডেন্ট থাকতেন তাহলে গাজায় ইসরাইলের গণহত্যামূলক যুদ্ধ শুরু হতে পারত না।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাষণের পর হামাস গতকাল এক বিবৃতিতে বলেছে, ফিলিস্তিনি জনগণ এবং তাদের বৈধ অধিকারের প্রতি মার্কিন প্রশাসনের আচরণ কেমন হচ্ছে তার ওপর ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন নতুন প্রশাসনের বিষয়ে এই সংগঠনের অবস্থান নির্ভর করবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা এবং পশ্চিম তীরে ইসরাইলের গণহত্যা ও আগ্রাসন বন্ধ করার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। একই সাথে লেবাননে ইহুদিবাদী ইসরাইল যে আগ্রাসন চালাচ্ছে তা বন্ধেও ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পদক্ষেপ নিতে হবে। আমেরিকার পক্ষ থেকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের জন্য যে অন্ধভাবে সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে তার অবসান ঘটাতে হবে। এর পাশাপাশি ফিলিস্তিনি জনগণের বৈধ অধিকারগুলোকে স্বীকৃতি দিতে হবে। মার্কিন সমর্থনের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে ও ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের ভবিষ্যৎ শান্তি ও নিরাপত্তার প্রশ্নে মূল্য দিতে হচ্ছে। পার্সটুডে
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.