দক্ষিণ লেবাননে ভূমি দখলের প্রচেষ্টায় তেমন কোনো সাফল্য অর্জন করতে না পেরে ইসরাইল সেখান থেকে কয়েক ব্রিগেড সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে বলে জানা গেছে।
ওয়াকিবহাল সূত্রের বরাত দিয়ে ইসরাইলি পত্রিকা ইয়াদিওত আহারোনোত এ খবর জানিয়েছে। দৈনিকটি বলেছে, লেবাননের প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর সঙ্গে আলোচনায় অংশগ্রহণকারী ইহুদিবাদী কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, আগামী দেড় থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে দক্ষিণ লেবাননে একটি যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।
হিব্রু ভাষার দৈনিকটি দাবি করেছে, দক্ষিণ লেবাননে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আলোচনায় অগ্রগতি হচ্ছে এবং সেখানে অনুপ্রবেশকারী দখলদার সেনারা তেল আবিবের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে।
লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় গ্রাম ও শহরগুলো দখল করার উদ্দেশ্যে সেখানে স্থল অভিযান শুরু করলেও এখন পর্যন্ত এ কাজে ইসরাইলি সেনারা তেমন কোনো অগ্রগতি অর্জন করতে পারেনি। হিজবুল্লাহর অকুতোভয় যোদ্ধারা কয়েকটি গ্রামে ইসরাইলি সেনাদের অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা রুখে দিয়েছেন।
এদিকে, ইসরাইলি বাহিনী হাজার হাজার সেনার ঘাটতিতে রয়েছে বলে অন্য এক খবরে জানিয়েছে ইয়াদিওত আহারোনোত। এতে বলা হয়েছে, বিগত বছরগুলোতে ইসরাইলি সেনাবাহিনীতে পুরুষ সেনা ভর্তির পরিমাণ প্রতি বছর শতকরা এক ভাগ করে কমে যাচ্ছে।
গাজা যুদ্ধে যখন ইসরাইলি বাহিনী একটি অপমানকর পরাজয়ের সম্মুখীন তখন এ খবর প্রকাশিত হলো। দক্ষিণ লেবাননেও নিজের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে দখলদার সেনারা চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। দুই ফ্রন্টে গত কয়েক দিনে কয়েক ডজন ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে।
গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে প্রায় এক বছর ধরে সীমান্ত অতিক্রমি গুলি বিনিময়ের পর গত সেপ্টেম্বর মাসে ইসরাইল দক্ষিণ লেবাননে ভয়াবহ বিমান হামলার পাশাপাশি স্থল অভিযান শুরু করে। লেবাননে ইসরাইলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৩,০০২ ব্যক্তি নিহত ও ১৩ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। ইসরাইলি বাহিনীর আগ্রাসনের জবাবে হিজবুল্লাহ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইসরাইলের অভ্যন্তরে প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। পার্সটুডে
অর্থসূচক/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.