খুআওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের বোনের ছেলে শেখ আরিফুজ্জামান রূপম (৩৪) ‘গণপিটুনিতে’ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার নগরের দৌলতপুর আঞ্জুমান মসজিদ সড়কে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আরিফুজ্জামান নগরের আঞ্জুমান সড়কের শেখ কামাল উদ্দিন বাচ্চুর ছেলে। তার মা সাবেক প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের মেজো বোন নার্গিস বেগম।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রের ভাষ্য অনুযায়ী, সোমবার সকালে খুলনা নগরের দৌলতপুরের আঞ্জুমান রোড এলাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় আরিফুজ্জামান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তখন স্থানীয় লোকজন তাঁকে ধরে পিটুনি দেয়। পরে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলার প্রক্রিয়া চলছে। নিহতের লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে আছে।
জানা গেছে, আরিফুজ্জামানের বিরুদ্ধে মাদকসহ চারটি মামলা রয়েছে। ২০২২ সালের ২৪ আগস্ট মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর দৌলতপুর থেকে ১৮টি ইয়াবা বড়িসহ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল। এর আগে ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর দিঘলিয়া উপজেলার পানিগাতী গ্রাম থেকে আরিফুজ্জামানসহ দুজনকে ৩৯৫টি ইয়াবা বড়িসহ আটক করেছিল র্যাব।
দৌলতপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. শহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘হাসপাতাল সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি তিনি (আরিফুজ্জামান) গণপিটুনির শিকার হয়েছিলেন। ঘটনার একপর্যায়ে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’
গণপিটুনির কারণ জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি বিগত সরকারের সময় তাঁর বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ও ভূমিকায় গণরোষ তৈরি হয়েছিল। সেটারই বোধ হয় বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। আমরা বিষয়টা তদন্ত করার পর কীভাবে কী হয়েছে, জানতে পারব।’
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.