বলিভীয় গবেষণা চুল্লীর জন্য পারমাণবিক জ্বালানী সরবরাহ করছে রসাটম

বলিভিয়ায় নির্মীয়মান একটি গবেষণা রিয়্যাক্টরে প্রারম্ভিক লোডিংয়ের জন্য পারমাণবিক জ্বালানী প্রস্তুত সম্পন্ন করেছে রসাটমের জ্বালানী বিভাগের অধীনের প্রতিষ্ঠান নভোসিবিয়েরস্ক কেমিক্যাল কন্সেন্ট্রেটস প্ল্যান্ট। ইতোমধ্যে জ্বালানীগুলো সফলভাবে এক্সেপটেন্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। আগামী বছর কোন এক সময় বলিভিয়ায় পাঠানো হবে।

এল-আলটোতে অবস্থিত বলিভিয়ার ন্যাশনাল সেন্টার ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ এন্ড টেকনোলজিসের অন্তর্ভূক্ত এটি দেশের প্রথম গবেষণা রিয়্যাক্টর। রসাটমের সহযোগিতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বলিভিয়ার এটমিক এনার্জী এজেন্সী।

২০২৩ সালে প্রকল্পটির জন্য রসাটম রিয়্যাক্টর ভেসেল সরবরাহ করে। পুলটাইপ এই রিয়্যাক্টরটির জীবনকাল ৫০ বছর। রসাটম কর্তৃক ডিজাইন ও প্রস্তুতকৃত জ্বালানী এসেম্বলীগুলো প্রতিকূল পরিস্থিতি যেমন ৮.৭ মাত্রার ভূমিকম্প, এমএসকে ৬৪ মাত্রায়ও তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যহত রাখবে।

রসাটমের টেভেল জ্বালানী কোম্পানীর সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট আলেগ গ্রেগোরিয়েভ বলেন, “বলিভিয়া দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম দেশ যেখানে আমরা পারমাণবিক জ্বালানী সরবরাহ করছি। রাশিয়া এবং রাশিয়ার বাইরে গবেষণা রিয়্যাক্টর নির্মানে আমাদের ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং আমরা এসকল রিয়্যাক্টরগুলোতে পুরো আয়ুষ্কার ধরে পারমাণবিক জ্বালানী সরবরাহ করে থাকি। বিগত ৫০ বছর যাবত নভোসিবিয়েরস্ক কেমিক্যাল কন্সেন্ট্রেটস প্ল্যান্ট পারমাণবিক জ্বালানী এবং এর বিভিন্ন অংশ তৈরি এবং বিশ্বের বিভিন্ন রিয়্যাক্টরে সরবরাহ করে আসছে”।

বলিভিয়ার বিআরআর-১ রিয়্যাক্টরে বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য রেডিও আইসোটোপ প্রস্তুত করা হবে। নিউট্রন এক্টিভেশন এনালাইসিস পদ্ধতির মাধ্যমে এখানে বিভিন্ন বস্তুর রাসায়নিক গঠন নিয়ে গবেষণা করা যাবে। বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে এজাতীয় গবেষণার চাহিদা রয়েছে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন প্রস্তর, আকরিক ও কনসেন্ট্রেট, জৈব স্যাম্পল ইত্যাদির গঠন নির্নয় করে থাকে। প্রাকৃতিক সম্পদের দক্ষ ব্যবহার এবং পরিবেশের অব্যহত মনিটরিং এর জন্য প্রোগ্রাম তৈরিতেও এই পদ্ধতিটি কার্যকর। পরমাণু বিষয়ে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্যও ব্যবহৃত হবে এই গবেষণা রিয়্যাক্টরটি।

অর্থসূচক/ এইচএআই

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.