‘ফ্লোর প্রাইসে পুঁজিবাজারে অনেক ক্ষতি হয়েছে’

বিভিন্ন সময়ে দেশের মিউচুয়াল ফান্ডের অনিয়মকারীদের জরিমানা করা হয়েছে। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসিসি) সেগুলো বাস্তবায়ন করতে পারেনি। বিশ্বের কোথাও ফ্লোর প্রাইস নেই। আর আমাদের পুঁজিবাজারে প্রায় ২ বছর ফ্লোর প্রাইস রয়েছে। এতে বাজারের অনেক ক্ষতি হয়েছে।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) আইসিবির ‘মিউচুয়াল ফান্ড ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান অবস্থা, সমস্যা ও করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ। সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল হোসেন।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, মিউচুয়াল ফান্ড একটি কোম্পানির শেয়ারে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বিনিয়োগ করতে পারে। আর একটি খাতে ১৫ শতাংশ বিনিয়োগ করতে পারে। বিনিয়োগের এ সীমা তুলে দেওয়া উচিৎ।

মিউচুয়াল ফান্ড ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। একইসঙ্গে সারা দেশব্যাপী ব্যাপক প্রচারণা চালানোর পক্ষেও মত দেন অনেকে।

এদিকে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিএসইসির নতুন কমিশন অনেক বড় বিনিয়োগকারীর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। এই তদন্ত বিএসইসিকে অভ্যান্তরীণভাবে করা উচিত। কেউ দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগে গণমাধ্যমে প্রকাশ করা উচিত না বলেও মত দিয়েছেন কয়েকটি মিউচুয়াল ফান্ডের সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা।

তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে অনেক ব্যবসায়ীর ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। মিউচুয়াল ফান্ডের উন্নয়নে এসব ব্যবসায়ীর ব্যাংক হিসাব খুলে তাদের ব্যবসায় করার সুযোগ দেওয়া দরকার।

বক্তারা বলেন, মিউচুয়াল ফান্ড থেকে টাকা লুট হয়ে গেছে। অর্থাৎ ডাক্তার হয়ে রোগী মেরে ফেলা হয়েছে। তাই জড়িতদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। তা না হলে কোনো কাজ হবে না। এখনো মিউচুয়াল ফান্ডের যাত্রা শুরু হয়নি।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.