জুটি ভাঙলেন তাইজুল

সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও সাউথ আফ্রিকা। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাউথ আফ্রিকার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক এইডেন মার্করাম।

ব্যাটিং উইকেটে দিনের শুরুটা দারুণ করেছে সাউথ আফ্রিকা। ওয়ানডে মেজাজে খেলে ১১ ওভারের মধ্যেই ৫১ রান সংগ্রহ করেছে দলটি। এখন পর্যন্ত কোনো উইকেটও হারায়নি সাউথ আফ্রিকা। হাসান মাহমুদ-নাহিদ রানারা মাঝে মধ্যে সুইং পেলেও উইকেটের তেমন কোনো সম্ভাবনাই তৈরি করতে পারেননি। স্পিনার তাইজুল ইসলামও পারেননি নিজেদের মেলে ধরতে।

৬ রানে থাকা অবস্থায় সপ্তম ওভারে টনি ডি জর্জি অবশ্য একটি জীবন পান। রাউন্ড দা উইকেট অ্যাঙ্গেলে এই ওপেনারকে বিপাকে ফেলেছিলেন হাসান। তার পিচ করে অ্যাঙ্গেলে ভেতরে ঢোকা বলটি ডি জর্জির ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় পেছনে। গ্লাভস ছোঁয়াতে পারলেও সেটি লুফে নিতে পারেননি অভিষিক্ত উইকেটরক্ষক মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।

এইডেন মার্করাম এবং ডি জর্জি ওপেনিং জুটিতে তোলেন ৬৯। এই জুটি ভাঙেন তাইজুল। ৫৫ বলে ৩৩ রান করা সাউথ আফ্রিকান অধিনায়ককে ফেরান তিনি। তাইজুলকে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে মিড অনে ধরা পড়েন মার্করাম। মার্করাম ফিরলেও ট্রিস্টান স্টাবসকে সঙ্গে নিয়ে দলের রান বাড়াতে থাকেন ডি জর্জি। হাফ সেঞ্চুরি থেকে এক রান দূরে থেকে মধ্যাহ্নভোজে যান এই ওপেনার। প্রথম সেশনে ২৮ ওভারে সাউথ আফ্রিকা তোলে এক উইকেটে ১০৯ রান।

বিরতি শেষে ফিরে প্রথম ওভারেই হাফ সেঞ্চুরি করেন এই ওপেনার। ৭৬ বলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরিটি তুলে নেন তিনি। লাঞ্চের পর প্রথম ওভারেই রিভিউ হারায় বাংলাদেশ। নাহিদ রানার ১৪০.৫ কিলোমিটার গতির ডেলিভারি পিচ করে আচমকা স্কিড করে ছোবল দেয় ডি জর্জির প্যাডে।

আম্পায়ার আউট দেননি। ফলে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। রিভিউতে দেখা যায়, বল পিচ করেছিল লেগ স্টাম্পের বেশ বাইরে। হাফ সেঞ্চুরির পর স্টাবসের সঙ্গে রান বাড়িয়ে নিচ্ছিলেন ডি জর্জি। ব্যক্তিগত ২৫ রানে জীবন পান স্টাবস।

আবারও ব্যর্থ হন অঙ্কন। তাইজুল ইসলামের ঝুলিয়ে দেয়া বল টার্ন করে বেরিয়ে যাচ্ছিল, সেই ডেলিভারিটি ড্রাইভ করার চেষ্টায় পরাস্ত হন স্টাবস। সেই মুহূর্তে তার পা বেরিয়ে আসে ক্রিজ থেকে। যদিও অঙ্কন তখন বল গ্লাভসে জমাতে পারেননি। ফলে তিনি স্টাম্পিংও করতে পারেননি।

এর একটু পর আরেকটি জীবন পান ডি জর্জি। ৬৭ রানে ব্যাটিং করার সময় রাউন্ড দা উইকেট অ্যাঙ্গেলে তাকে বিপাকে ফেলেন হাসান। ডি জর্জির ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো সাদমান ইসলামের একটু সামনে। ক্যাচটি হতে হতেও হয়নি। সেই বলে উল্টো দুই রান নেন ডি জর্জি।

৫০ ওভারের মধ্যে দ্বিতীয় রিভিউ হারায় বাংলাদেশ। তাইজুল একটু জোরের ওপর স্কিড করা সেই ডেলিভারিতে কাট করার চেষ্টায় ব্যর্থ হন ট্রিস্টান স্টাবস। কট বিহাইন্ডেরে আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। রিভিউতে দেখা যায়, বল ব্যাটেই লাগেনি।

বাংলাদেশের বোলারদের ক্রমাগত ব্যর্থতার সামনে দেখেশুনে খেলতে খেলতে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন স্টাবস। ইনিংসের ৫৫ ওভারে সেঞ্চুরি তুলে নেন ডি জর্জি। আটটি চার ও দুটি ছক্কায় ১৪৯ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ওপেনার। একইসঙ্গে দুইশ পেরিয়ে যায় প্রোটিয়ারা।

ডি জর্জির সেঞ্চুরির মাধ্যমে শেষ হয় আরেক সেশন। এই সেশনে ২৮ ওভারে বিনা উইকেটে ৯৬ রান করেছে সফরকারীরা।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.