গত এপ্রিলে পাকিস্তানের সাদা বলের প্রধান কোচের দায়িত্ব তুলে দেয়া হয় কারস্টেনকে। দুই বছরের জন্য বাবর আজম- মোহাম্মদ রিজওয়ানদের দলের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল তার। যদিও পাকিস্তানে সময়টা ভালো কাটেনি কারস্টেনের।
জানা গেছে, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সঙ্গে মনমালিন্য হচ্ছিল তার। যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে কোচ কারস্টেনের মন্তব্যে গ্রাহ্য করছিল না পিসিবি। গতকালই ২৫ সদস্যের কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা প্রকাশ করে পিসিবি। সেই চুক্তি প্রকাশের আগে নাকি কিছু জানানোই হয়নি কারস্টেনকে। এদিকে গতকাল রাতেই ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের নতুন অধিনায়কত্ব দেয়া হয় রিজওয়ানকে।
পাকিস্তানের গণমাধ্যমের খবর, পিসিবির নেয়া সেই সিদ্ধান্তও পছন্দ হয়নি কারস্টেনের। এ ছাড়া নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনও ম্যাচে খেলোয়াড়দের একাদশ গঠনে কোচের ভূমিকা থাকবে না, এই নিয়মটিও মেনে নিতে চাননি কারস্টেন।
সবমিলিয়ে গতকাল রাত থেকেই গুঞ্জন ওঠে পাকিস্তান ছাড়তে যাচ্ছেন সাউথ আফ্রিকার সাবেক এই ওপেনার। সকাল হতেই গুঞ্জন ডানা মেলে। যদিও এই ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনও মন্তব্য করেনি পিসিবি।
ইএসপিএন ক্রিকইনফো প্রকাশ করেছে এমন সংবাদ। তারা আরও জানিয়েছে, পাকিস্তানের নতুন নির্বাচক কমিটির সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার কারণেই মূলত দায়িত্ব ছাড়ছেন কারস্টেন। সেক্ষেত্রে পাকিস্তানের আসন্ন অস্ট্রেলিয়া এবং জিম্বাবুয়ে সফরে দলের সঙ্গে যাচ্ছেন না তিনি।
ভারতকে ২০১১ সালে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন গ্যারি কারস্টেন। পাকিস্তান দলের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির প্রধান কোচ হওয়ার পর মনে করা হচ্ছিল তার হাত ধরেই পাল্টে যাবে পাকিস্তান ক্রিকেটের খোলনলচে। যদিও তেমন কিছুই হলো না। উল্টো পাকিস্তানের প্রধান কোচের পদ থেকে ইস্তফা নিলেন কারস্টেন।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.