সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের নামে পূর্বাচলে বরাদ্দকৃত প্লটসহ রাজউকের সকল অবৈধ বরাদ্দ তদন্তে কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। সাবেক বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরীকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। কমিটিকে চার মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে পূর্বাচলে মোট ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দ বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে জারি করা রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি ফাতেমা নজীবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদিত অবৈধ বরাদ্দ প্রত্যাহার এবং দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন অনুযায়ী বরাদ্দ থেকে সুবিধাপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী।
একইসঙ্গে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হাইকোর্টের একজন সাবেক বিচারপতির নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের আবেদন করেন রিট আবেদনকারীরা।
সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীর পক্ষে আবেদনকারী মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন বলেন, রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে শেখ হাসিনা নিজের নামে ১০ কাঠার একটি প্লট বরাদ্দ দিয়েছেন।
আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে ২০২২ সালে তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা এবং রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও আজমিনা সিদ্দিক রূপান্তিকে ১০ কাঠার প্লট দেওয়া হয়। পরে রাজউকের নথিতে এটি ‘রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ গোপনীয়’ বিষয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.