ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’, পশ্চিমবঙ্গের ৭ জেলায় স্কুল ছুটি ঘোষণা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ মোকাবিলায় বাড়তি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। রাজ্যটির ৭ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ফেরি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এবং পর্যটকদের এখন থেকেই সতর্ক করা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’-র জেরে প্রাথমিকভাবে ১৭৮টি ট্রেন চলাচল বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। ইস্ট-কোস্ট রেলওয়ের (পূর্ব উপকূলীয় রেল) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের জেরে বুধবার থেকে বিভিন্ন ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। বাতিল করে দেওয়া হয়েছে বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবারের একগুচ্ছ ট্রেন। এমনকি আগামী শনিবার এবং আগামী ২৯ অক্টোবরের ট্রেনও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।

নবান্নে এক সংবাদ সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা জানান, ২৩ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত তিনদিন পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, কলকাতা, পুরুলিয়া এবং ঝাড়গ্রামে স্কুল বন্ধ থাকবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ‘দানা’ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে সেটা শক্তি বাড়িয়ে, বড় একটা ঘুর্ণিঝড় হিসেবে ২৪ অক্টোবর রাত থেকে ২৫ অক্টোবর সকালের মধ্যে পুরী এবং সাগরদীপে যেকোনও জায়গায় আঘাত হানতে পারে। তখন হাওয়ার গতি ১০০ থেকে ১১০ থাকবে। কোথাও কোথাও ১২০-ও হতে পারে।

মমতা জানান, এই ঘুর্ণিঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলি যেখানে প্রভাব পড়তে পারে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম। এই সাত জেলায় খুব বেশি প্রভাব পড়তে পারে। কারণ, ভারী বৃষ্টি হবে, সাথে দমকা হাওয়া। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের সরানোর কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। পার্সটুডে

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.