এমিরেটস এয়ারলাইন বিশ্বব্যাপী আকাশ পথে ক্রমবর্ধমান পন্য পরিবহণ চাহিদা মেটাতে অতিরিক্ত আরও ৫টি বোয়িং ৭৭৭ ফ্রেইটারের ক্রয়াদেশ প্রদান করেছে। ২০২৫/২৬ সনে এই উড়োজাহাজগুলোর ডেলিভারি পাওয়া যাবে। ইতোপূর্বে অর্ডারকৃত ১৪টি বোয়িং ৭৭৭ এর ডেলিভারি ২০২৬ এর শেষ নাগাদ সম্পন্ন হবে।
দুবাই এরোস্পেস এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে ৪টি পন্যবাহী বোয়িং ৭৭৭ এর লীজ চুক্তিটির মেয়াদও বৃদ্ধি করা হয়েছে। ২০২৬ সালের ডিসেম্বর নাগাদ এমিরেটসের পন্য পরিবহণ শাখা ‘এমিরেটস স্কাইকার্গো’ বহরে প্রোডাকশন-বিল্ট পন্যবাহী বোয়িং ৭৭৭ এর সংখ্যা দাঁড়াবে ২১টিতে। বর্তমানে স্কাইকার্গোর বহরে পন্যবাহী উড়োজাহাজের সংখ্যা ১১টি।
এছাড়াও এমিরেটস তাদের যাত্রীবাহী ১০টি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর’কে পন্যবাহী উড়োজাহাজে রূপান্তরের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।
এমিরেটস এয়ারলাইন ও গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী শেখ আহমেদ বিন সাঈদ আল মাকতুম জানান, “এমিরেটসের এয়ার কার্গো চাহিদা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। বৈশ্বিক লজিস্টিক হাব হিসেবে দুবাইয়ের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা এবং বিভিন্ন সেক্টরের শিপারদের চাহিদা পূরণে এমিরেটস স্কাইকার্গোর ইতিবাচক ভূমিকা এক্ষেত্রে অবদান রাখছে”।
দুবাই সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ কাজ সম্পন্ন হলে, সক্ষমতা বিবেচনায় এটি হবে বিশ্বের বৃহত্তম হাব। বিমানবন্দরটির পন্য ব্যবস্থাপনা সক্ষমতা হবে বছরে ১ কোটি ২০ লক্ষ টন।
চলতি বছরের শেষ নাগাদ এমিরেটস তার ভবিষ্যৎ পন্যবাহী উড়োজাহাজ বহরের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। ২০২৮/ ২৯ সন এবং পরবর্তী সময়ের জন্য যে বহরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, সেখানে বিশেষভাবে বিবেচিত হবে বোয়িং ৭৭৭- ৮এফ এবং এয়ারবাস এ৩৫০-১০০০এফ।
অর্থসূচক/ এইচএআই



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.