ইরানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ৭ ইসরায়েলি আটক

কৌশলগত স্থাপনাগুলোর গোয়েন্দা তথ্য ইরানকে সরবরাহ করার অভিযোগে সাত ইহুদি বসতি স্থাপনকারীকে আটক করেছে ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনী।

দেশটির ওয়াইনেট নিউজ জানিয়েছে, এসব ইহুদি অভিবাসী আজারবাইজান থেকে ইসরাইলে এসে বসবাস শুরু করেছে এবং গত দুই বছর ধরে তাদের সঙ্গে ইরানের যোগাযোগ ছিল।

ইসরাইলি গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, আটক ব্যক্তিরা ইসরাইলের হাইফা শহরের পাশাপাশি উত্তর ইসরাইলের বিভিন্ন বসতির অধিবাসী এবং তাদের মধ্যে সেনাবাহিনী থেকে পালিয়ে যাওয়া এক ব্যক্তি ও দুই শিশু রয়েছে।

আটক প্রাপ্তবয়স্ক পাঁচজনের নামও প্রকাশ করেছে ইসরাইলি গণমাধ্যমগুলো। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ইসরাইলের বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটি ও স্থাপনার তথ্য ও অবস্থান ইরানকে জানিয়েছে এবং ইরান সেই তথ্যের ভিত্তিতে এপ্রিল ও অক্টোবরে দুই দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

যেসব স্থাপনার তথ্য ইরানকে দেয়ার দাবি করা হয়েছে সেসবের মধ্যে রয়েছে, তেল আবিবের কিরিয়া সামরিক সদরদপ্তর, নেভাতিম ও রামাত ডেভিড বিমান ঘাঁটি, হাদেরা পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং বিভিন্ন স্থানে বসানো আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম।

নেভাতিম বিমান ঘাঁটি চলতি বছর ইরানের দুই দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে ইসরাইলের যুদ্ধবিমানগুলো গাজায় বোমাবর্ষণ করে। এছাড়া, রামাত ডেভিড বিমান ঘাঁটিতে গত ২২ সেপ্টেম্বর লেবাননের হিজবুল্লাহর রকেট আঘাত হানে।

এমন সময় ইরানকে তথ্য দেয়ার দায়ে ইসরাইলি সাত নাগরিককে আটক করা হলো যখন তেল আবিব এতদিন দাবি করেছিল, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তাদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কিন্তু যেসব স্থাপনার তথ্য পাচারের অভিযোগে আটকাভিযান চালানোর কথা বলা হচ্ছে, তাতে প্রতীয়মান হয়, এসব স্থাপনা ও আয়রন ডোম ব্যবস্থা ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পার্সটুডে

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.