প্রোটিয়া দাপটের পর হাসানের জোড়া আঘাত

বাংলাদেশকে প্রথম ইনিংসে অল্পে গুঁড়িয়ে দিয়েও অস্বস্তিতে থেকে প্রথম দিন শেষ করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। স্বাগতিকদের ১০৬ রানের জবাবে প্রথম দিন ১৪০ রান করতে তারা হারায় ৬ উইকেট। ৩৪ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় দিন খেলা শুরু করে দাপটের সঙ্গে প্রথম ঘন্টা ব্যাট করেছে সফরকারীরা। যদিও হাসান মাহমুদের জোড়া আঘাতে ম্যাচে ফিরেছে বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দেখে শুনেই করেন ভিয়ান মুল্ডার ও ভেরেইনা। নতুন সকালের প্রথম ঘন্টায় সাবলীল ব্যাটিং করে উল্টো বাংলাদেশের বোলারদের চাপে রেখেছে এই জুটি। উল্টো চাপের মুখে চমৎকার ব্যাটিংয়ে পঞ্চাশ করেন ভেরেইনা। ে৬৭ বলে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি করতে ৫টি চার মারেন দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। ভেরেইনার সঙ্গে ভিয়ান মুল্ডারের জুটিতে দারুণভাবে এগিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশের স্পিনারদের মোকাবিলা করতে বেশ কার্যকরভাবে সুইপ, রিভার্স সুইপ করছেন ভেরেইনা ও মুল্ডার।

এমনকি স্টাম্পের ওপর থেকে কাট করতেও পিছপা হচ্ছেন না দুই ব্যাটসম্যান। প্রথম ঘন্টায় বাংলাদেশের বোলারদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দলের লিড ১০০’র ঘরে নিয়ে যান দুজন। তবে একবার উইকেটের সুযোগ তৈরি করেছিলেন নাঈম হাসান। কিন্তু ভিয়ান মুল্ডারের ব্যাটের ভেতরের কানা ছুঁয়ে প্যাডে লেগে বল উঠে গেল শর্ট লেগের দিকে। কিন্তু আলসেভাবে বাম হাত এগিয়ে দিয়ে ক্যাচটি নিতে পারেননি মুমিনুল হক। ৪৭ রানে বেঁচে যান মুল্ডার। এরপর তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। তবে জীবন পেয়ে ইনিংস বেশী লম্বা করতে পারেননি এই ব্যাটার।

হাসান মাহমুদের ব্যাক অফ লেংথ ডেলিভারি দূর থেকে খেলার চেষ্টায় খোঁচা মারলেন এই ব্যাটার। ওয়াইড স্লিপে সহজ ক্যাচ লুফে নেন সাদমান। ৫৪ রানে আউট হন মুল্ডার। এরপরের বলেই হাসান ফিরিয়ে দেন কেশাভ মহারাজকেও। কিছুটা নিচু হয়ে যায় অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারি। মহারাজের ব্যাটের নিচ দিয়ে গিয়ে উড়িয়ে অফ স্টাম্প।

এতে হাসান মাহমুদ হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন। কিন্তু লাঞ্চের আগে আর কোনও উইকেট পায়নি স্বাগতিক দল। ভেরেইন একপ্রান্ত আগলে ৭৭ রানে অপরাজিত থেকে লাঞ্চ বিরতিতে গেছেন। প্রথম সেশন শেষে প্রথম ইনিংসে সফরকারীদের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৪৩ রান। তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ১৩৭ রানে। ভেরেইনের সঙ্গে রয়েছেন ডেন পিয়েট।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.