‘জ্বালানি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা দরকার’

বাংলাদেশের জ্বালানি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারি ও বেসরকারী খাতের মধ্যে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার বিষয়ে জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

রোববার (২০ অক্টোবর) ফরেন ইনভেস্টর চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের জন্য টেকসই জ্বালানি’ শীর্ষক এক সেমিনারে বিষয়টি উঠে এসেছে।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য একটি টেকসই জ্বালানি খাত দরকার। একইসঙ্গে জ্বালানির উৎস্য বৈচিত্র্যময় করা দরকার।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক ডিন ডাঃ ইজাজ হোসেন।

ইজাজ হোসেন প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনের মাত্রা বজায় রাখার জরুরি প্রয়োজনের কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বছরে অন্তত দশটি নতুন কূপ খনন না করলে দেশ আমদানি করা এলএনজির ওপর নির্ভরশীলতার সম্মুখীন হতে পারে। তিনি পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, গ্যাসের চাহিদা ২০৩০ সালের মধ্যে ৪ হাজার ৬২২ এমএমসিএফডিতে পৌঁছতে পারে, যা পেট্রোবাংলার সরবরাহের ক্ষমতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।

জিই ভার্নোভা বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার নওশাদ আলী মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আলোচকদের মধ্যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনারারি প্রফেসর ড. বদরুল ইমাম এনার্জি সোর্সিংয়ের ভূতাত্ত্বিক প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন।

আলোচনায় বেশ কিছু সমালোচনামূলক সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে উন্নত রিগ্যাসিফিকেশন টার্মিনালের প্রয়োজনীয়তা, প্রাকৃতিক গ্যাসের জন্য ত্বরান্বিত অনুসন্ধান এবং কয়লা ও পুনর্নবীকরণযোগ্য উৎস্যকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি বৈচিত্র্যময় শক্তি পোর্টফোলিও।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.