সাম্প্রতিক সময়ে দেশের কয়েকটি জেলায় ব্যাপক বন্যা হয়। এতে কৃষক ও সিএমএসএমই খাতের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে বন্যাকবলিত এলাকার কৃষক ও সেসব ব্যবসায়ীদের ঋণের কিস্তি পরিশোধে ছাড় দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রোববার (২০ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। নির্দেশনাটি দেশের সব নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কৃষি এবং সিএমএসএমই খাতের ঋণ গ্রাহকেরা চলতি বছরের আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রদেয় ঋণের কিস্তিগুলো সংশ্লিষ্ট ঋণের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
এছাড়াও চলতি বছরের আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সমন্বয়যোগ্য ঋণের সমন্বয়ের মেয়াদ তিন মাস বৃদ্ধি করতে হবে। তবে গ্রাহকরা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কিনা তা ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলো নিজ উদ্যোগে নিশ্চিত হবে বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, দেশের কয়েকটি জেলা বন্যার কারণে প্লাবিত হয়েছে। তাতে এসব এলাকার স্বল্পমেয়াদি কৃষি ও সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ কারণে তাঁদের পক্ষে নির্ধারিত সময়ে ঋণ বা ঋণের কিস্তি পরিশোধ বা সমন্বয় দুরূহ হয়ে পড়বে। এজন্য ঋণের কিস্তি পরিশোধের ক্ষেত্রে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ঋণ পরিশোধের এসব সুবিধা কোনো গ্রাহক গ্রহণ করতে না চাইলে পূর্ব নির্ধারিত পরিশোধসূচী অনুযায়ী ঋণের কিস্তি পরিশোধ বা ঋণ সমন্বয় করা যাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, উল্লিখিত সময়ের ঋণের কিস্তি বিলম্বে পরিশোধের ক্ষেত্রে নিয়মিত সুদ বাদে অন্য কোনো দণ্ড সুদ, অতিরিক্ত সুদ ও মুনাফা, বিলম্ব মাশুল বা জরিমানা কোনো কিছুই আদায় বা আরোপ করা যাবে না।
ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০২৩ এর ৪১ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নিদের্শনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়েছে।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.