অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডের মতো দলকে হারাতে স্পিনের দিকেই ঝুঁকে থাকে উপমহাদেশের দলগুলো। সাউথ আফ্রিকার মতো পেস বান্ধর কন্ডিশনের প্রতিপক্ষকে খাবি খাওয়াতেও রীতিটা একই। উপমহাদেশে এলেই যেন নুইয়ে পড়েন প্রোটিয়া ক্রিকেটাররা, বিশেষ করে ব্যাটাররা। সবশেষ কয়েক বছরে এশিয়াতে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি সাউথ আফ্রিকা। এখন পর্যন্ত উপমহাদেশের কন্ডিশনে ৫২ টেস্টের ১৫টিতে জয় আছে সাউথ আফ্রিকা।
যদিও সবশেষ প্রোটিয়ারা উপমহাদেশের মাটিতে জয় পেয়েছে ২০১৪ সালের জুলাইয়ে। গলে পাওয়া সেই জয়ের পর চারটি ড্র থাকলেও জয় নেই সফরকারীদের। শ্রীলঙ্কায় টেস্ট জেতার পর সবমিলিয়ে সবশেষ ১৪ টেস্টে জয়শূন্য সাউথ আফ্রিকা। বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পেয়ে সেই হারের ধারা ভাঙতে চান কেশব মহারাজ।
এ প্রসঙ্গে মহারাজ বলেন, ‘আমরা জানি ঘরের মাঠে বাংলাদেশ তুলনামূলকভাবে খুব ভালো দল। তবে আমরাও দেশের বাইরে বিশেষ করে উপমহাদেশের কন্ডিশনে জিততে না পারার ধারা ভাঙতে চাই। ছেলেরা এই কন্ডিশনের সঙ্গে মানাতে সুনির্দিষ্ট প্রস্তুতি নিচ্ছে। সম্ভাব্য যে কন্ডিশন সামলাবো সেটার উপায় খুঁজে বের করতে কাজ করছে সবাই।’
বাংলাদেশে আসার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট খেলেছে সাউথ আফ্রিকা। পোর্ট অব স্পেনে ড্র হলেও প্রভিডেন্সে ৪০ রানের জয় পেয়েছে তারা। নিজেদের প্রস্তুতি নিয়ে মহারাজ বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ থেকে আমরা কিছু আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। অবশ্যই, আমরা সেখানে ভালো করেছি এবং ইতিবাচক অনেক কিছুই ছিল। আরও কোথায় আমাদের উন্নতি করা প্রয়োজন সেটাও ভাবার সময় পেয়েছি। বাংলাদেশে আসার আগে একটা দারুণ ক্যাম্প করেছি আমরা। এখানে এসেও দুদিন খুব ভালো সেশন পার করেছি, আরও দুইটা সেশন পাব টেস্টে নামার আগে। আমার মনে হয় ছেলেরা মাঠে নামতে রোমাঞ্চিত।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ১৬.০৭ গড়ে ১৩ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা হয়েছিলেন মহারাজ। বাংলাদেশের কন্ডিশনে বরাবরই বড় ভূমিকা রাখেন স্পিনাররা। কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনিগিদিদের তুলনায় বাঁহাতি স্পিনারের দায়িত্বটা তাই একটু বেশি। উপমহাদেশের কন্ডিশনে ভালো করতেও মুখিয়ে আছেন মহারাজ। আপাতত নিজের প্রক্রিয়ায় আস্থা রেখে বাংলাদেশের বিপক্ষে সাফল্য পেতে চান তিনি।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.