ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পে দখলদার ইসরায়েলের হামলায় ২১ নারীসহ ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) জাবালিয়ার বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনারা।
সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, হামলায় ৩৩ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরও অনেকে। এর আগে আল আওদা হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, তারা হাসপাতালটিতে ২২ জনের মৃত্যুর বিষয় রেকর্ড করেছে। পাশাপাশি ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য নির্মিত তাল আল-জাতার শিবিরটিতে চালানো হামলায় আরও ৭০ জন আহত লোককে হাসপাতালটিতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকায় নিহতের সংখ্যা ৫০ জনের বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। এছাড়া এসব হামলায় আরও ৮৫ জন আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
রাতভর পরিচালিত এই হামলার বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মন্তব্য জানতে চাইলে একজন মুখপাত্র বলেন, তারা বিষয়টির খোঁজ নিচ্ছেন। গাজা উপত্যকার উত্তরে ও জাবালিয়ার আশপাশে গত ৬ অক্টোবর থেকে নতুন করে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলছে তারা হামাস যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে।
জাবালিয়া গাজার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত। সেখানে গত দুই সপ্তাহ ধরে আবারও ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। কারণ শরণার্থী ক্যাম্পটিতে পুনরায় সংগঠিত হয়েছিল হামাসের যোদ্ধারা। এছাড়া সেখানে বেসামরিক সরকারও পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে সমর্থিত হয়েছিল তারা।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। সেদিন ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতিতে হামলা চালায় হামাসের যোদ্ধারা। ওই সময় তারা প্রায় ২৫০ জনকে ধরে গাজায় নিয়ে আসে এবং ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে।
হামাসের এই হামলার প্রতিশোধ নিতে ওইদিনই গাজায় ব্যাপক হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েল। গত এক বছর ধরে চলা তাদের এসব নির্বিচার বর্বরতায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৩ হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও এক লাখেরও বেশি মানুষ।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.