বাসে গ্যাস নেওয়ার সময় বিস্ফোরণে নিহত ৪, আহতদের হাত-পা বিচ্ছিন্ন

লক্ষ্মীপুরে মেঘনা ক্লাসিক নামক একটি বাসে গ্যাস রিফিলের সময় সিলিন্ডারের ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৪ জন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদের মধ্যে কারও হাত, কারও পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

রবিবার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রিন লিফ সিএনজি ফিলিং স্টেশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- মো. হৃদয় (১৯), মো. ইউসুফ (৩২) ও সুজন (২৫)। বাকি একজনের পরিচয় জানা যায়নি। হৃদয় লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের রাজিবপুর গ্রামের সিরাজের ছেলে। তিনি পেশায় মোটর মেকানিক। ইউসুফ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য বাঞ্চানগর গ্রামের সুজা মিয়ার ছেলে ও সুজন সদর উপজেলার চরমনসা গ্রামের বটু মিয়ার ছেলে। আহত ১৪ জনের কারও নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লক্ষ্মীপুর-রামগতিগামী মেঘনা পরিবহনের একটি বাস গ্যাস নিতে আসে গ্রিন লাইফ ফিলিং স্টেশনে। বাসে গ্যাস দেওয়ার সময় হঠাৎ সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে স্টেশনে থাকা লোকজন ছোটাছুটি শুরু করে। এসময় ঘটনাস্থলেই মারা যান অটোরিকশার তিন চালক। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জয়নাল আবেদীন হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তিন জনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। ১৪ জন আহত হয়ে হাসপাতালে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১০ জনের কারো হাত, কারো পা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন অংশ দগ্ধ হয়েছে। আমরা অধিকাংশ রোগীকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছি।

পরে আরও একজন মারা যান বলে জানান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মনাফ।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.