ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করলো আরও একটি দেশ

ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে মধ্য আমেরিকা অঞ্চলের দেশ নিকারাগুয়া। দেশটি ইসরায়েলি সরকারকে ‘ফ্যাসিস্ট’ ও ‘গণহত্যাকারী’ বলে অভিহিত করেছে। এর আগে ফিলিস্তিনের গাজায় একই ধরণের অভিযোগ তুলে বলিভিয়া, কলম্বিয়া, চিলি ও হন্ডুরাসসহ আরো কয়েকটি দেশ দখলদার ইসরায়েলের সাথে সকল ধরণের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দিয়েছে।

শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিবৃতিতে নিকারাগুয়া সরকার এতথ্য জানিছে বলে নিশ্চিত করেছে রয়টার্স।

রয়টার্স জানিয়েছে, একইদিন এর আগে নিকারাগুয়ার কংগ্রেস একটি প্রস্তাব পাস করে দেশের সরকারকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করে।

নিকারাগুয়া সরকার বলেছে, “এই দখলদারিত্বের সংঘাত এখন লেবাননের বিরুদ্ধে বিস্তৃত হয়েছে এবং সিরিয়া, ইয়েমেন ও ইরানকে গুরুতর হুমকি দিচ্ছে।”

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে প্রাণঘাতী হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। এর জেরে ওই দিন থেকেই হামাস শাসিত ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় ভয়াবহ হামলা শুরু করে ইসরায়েল। তারপর থেকে গত এক বছর ধরে টানা হামলা চালিয়ে ৪২ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা ও গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে ইসরায়েল।

গাজা যুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় লেবাননের ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর সঙ্গে ইসরায়েলের প্রায় এক বছর ধরে সীমান্ত সংঘর্ষের পর গত কয়েক সপ্তাহ ধরে হিজবুল্লাহর অবস্থানগুলোতে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এসব হামলার জেরে ১ অক্টোবর ইসরায়েলে প্রায় ২০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ইসরায়েল এই হামলার প্রতিশোধ নিতে ইরানে ‘প্রাণঘাতী’ পাল্টা হামলার হুমকি দিয়েছে।

ইসরায়েল ইরানে হামলা চালালে বড় ধরনের আঞ্চলিক যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে চরম উদ্বেগ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইসরায়েল জুড়ে ১৮০ টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও দেশটির প্রশাসন থেকে এখনও তা নিশ্চিত করেনি। তবে ইরান কে চরম মূল্য দিতে হবে বলে হুমকি দিয়ে রেখেছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

অর্থসূচক/ এএকে

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.