আজ (১২ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশসহ সবধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় দেশব্যাপী ইলিশ পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে। মা ইলিশের প্রজনন নিরাপদ করতে প্রতিবছর আশ্বিন মাসে অমাবস্যা ও পূর্ণিমা মাঝে রেখে এ নিষেধাজ্ঞা দেয় মৎস্য অধিদপ্তর।
এদিকে পদ্মা-মেঘনা পাড়ের অর্ধ লক্ষাধিক জেলে জাল-নৌকা তীরে উঠিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নিষেধাজ্ঞাকালে পরিবার-পরিজনের ভরণপোষণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা। জেলেদের সরকারিভাবে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি আর্থিক সহায়তার দাবি জানান তারা।
জানা গেছে, মেঘনা নদীর ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর হয়ে চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলেরা নদীতে নামতে পারবেন না। এ সময়ে ইলিশ মাছ আহরণ ও বিক্রি করলে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানাসহ উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) রাজিব চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, এ বছর ইলিশ ধরা নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে পালিত হবে। নিষেধাজ্ঞাকালে কোনও জেলে নদীতে নামলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মৎস্য শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, ইলিশ নিধন বন্ধ করতে হলে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি বাড়াতে হবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা যাতে মা ইলিশ নিধনে জড়িয়ে না যায় সেদিকেও দৃষ্টি দিতে হবে।
নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন জেলার ৩৯ হাজার ৭৫০ জেলে পরিবারের মাঝে ৯৯৩.৭৫০ টন ভিজিএফ চাল বিতরণ করা হবে। এর মধ্যে সদরে তিন হাজার ৭৫০ জনকে ১৪৩.৭৫ টন, রামগতিতে ১৭ হাজার জেলেকে ৪২৫ টন, কমলনগরে ১১ হাজার ২০০ জনকে ২৮০ টন ও রায়পুরে পাঁচ হাজার ৮০০ জেলেকে ১৪৫ টন চাল দেওয়া হবে। যদিও লক্ষ্মীপুরে ৫৪ হাজার ৬০ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন। এর মধ্যে সদরে সাত হাজার ৭২৯ জন, রামগতিতে ২৫ হাজার ৯১, কমলনগরে ১২ হাজার ৯৩৮ এবং রায়পুরে সাত হাজার ৬৯৮ জন জেলে আছেন।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.