কাঁচা মরিচের কেজি ৫০০ টাকা ছুঁই ছুঁই

ঝড়-বৃষ্টি, বন্যা-খরা, শীত কিংবা তাপপ্রবাহ- এমন নানা অজুহাতে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানোর চর্চা অনেকদিন ধরেই চলছে। এবার বিক্রেতাদের জন্য অজুহাত হয়ে এসেছে কয়েকদিন ধরে চলা বৃষ্টি। এমন অজুহাতে দক্ষিণ কমলাপুর বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৫০০ টাকা পর্যন্ত।

শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে দক্ষিণ কমলাপুর কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

খুচরা এ বাজারে দেখা গেছে, প্রতিটি সবজির দাম গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের।

অপরদিকে এজিবি কলোনি কাঁচাবাজারে দেখা গেছে, সব ধরনের সবজির দাম ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। তবে ছোট বাজারগুলোর তুলনায় এজিবি কলোনি বাজারে কাঁচা মরিচের দাম অনেকটা কম। এখানে প্রতি কেজি মরিচ ৩৫০ থেকে ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এত বেশি দামে মরিচ কেন বিক্রি হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে বিক্রেতারা বলেন, গত কয়েক দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে অনেক সবজির বাগান নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া পণ্য আনতে পরিবহন ব্যবস্থা অনেক কম এখন। পণ্য যা আনা সম্ভব হয় তাতে আবার ভাড়া বেশি পড়ে। এসব বাজার ঘুরে মুরগির দরও বাড়তি অবস্থায় দেখা গেছে। একইভাবে মাছের দামও আগের মতো।

দেখা গেছে, বাজারে ঢেঁড়স ৬০ টাকা , বেগুন ৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৭০ টাকা, কচু ৭০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ এসব বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা। কিছু কিছু আবার শতকের ঘরও ছাড়িয়েছে।

এ ছাড়া, পেঁপে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, লাউ আকৃতিভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, শসা ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে লেবুর হালি ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

কাঁচা কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায় এবং মিষ্টি কুমড়া কেজি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা, আদা ২৮০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা এবং আলু কেজি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে ক্রেতারা বলছেন, বিক্রেতারা নানা অজুহাতে বিভিন্ন পণ্যের দাম বৃদ্ধি করছে।

এদিকে দেশের বাজারে নিত্যপণ্যের অস্থিরতা থাকলেও সরকারি হিসাব বলছে, সেপ্টেম্বর মাসে দেশের গড় মূল্যস্ফীতি কমেছে। সেপ্টেম্বরে দেশের গড় মূল্যস্ফীতি কমে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশে এসেছে। তবে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘরেই আছে। এ মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ১০ দশমিক ৪ শতাংশে ঠেকেছে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.