তারল্য সহায়তা পাওয়া চার ব্যাংকের মধ্যে তিনটির শেয়ার দর ফেস ভ্যালুর নিচে

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৪টি দুর্বল ব্যাংক ৯৪৫ কোটি টকার তারল্য সহায়তা পেয়েছে। এর মধ্যে তিনটি ব্যাংকের শেয়ার দর ফেস ভ্যালুর নিচে অবস্থান করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যারান্টিতে কয়েকটি সবল ব্যাংক এ সহায়তা করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা তারল্য সহায়তা দেওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তথ্য মতে, তালিকাভুক্ত ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পেয়েছে ৩০০ কোটি টাকার সহায়তা। যা দিয়েছে সিটি ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ও ডাচ্ বাংলা ব্যাংক।

প্রায় একই পরিমাণের তারল্য সহায়তা পেয়েছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। ইসলামী ধারার এ ব্যাংকটিকে সহায়তা দিয়েছে সিটি ব্যাংক ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক।

ন্যাশনাল ব্যাংক তারল্য সহায়তা নিয়েছে সিটি ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ও বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক থেকে। গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকও তারল্য সহায়তা পেয়েছে।

দুর্বল এ ব্যাংকগুলোকে দেওয়া ঋণের গ্যারান্টি বা নিশ্চয়তা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এদিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে (ডিএসই) জানা গেছে, বুধবার (২ অক্টোবর) ন্যাশনাল ব্যাংকের শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৬ টাকায়। এছাড়া গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক শেয়ার দর ৭ টাকা ১০ পয়সা এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দর ৮ টাকা ৩০ পয়সায় অবস্থান করছেন। অর্থাৎ তালিকাভুক্ত এ তিন ব্যাংকের শেয়ার দরই ফেস ভ্যালুর নিচে অবস্থান করছে।

অপরদিকে তারল্য সহায়তা পাওয়া সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক শেয়ার দর ১২ টকাা ৫০ পয়সায় অবস্থান করছে। প্রায় এক মাস আগেও এসআইবিএলের শেয়ার দর ফেস ভ্যালুর নিচে ছিলো।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছিলো, সবল ব্যাংকগুলো থেকে নেওয়া ঋণের টাকা দুর্বল ব্যাংকগুলো দিতে ব্যর্থ হলে, সেই টাকা ৩ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ফেরত দেবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে আরও জানা যায়, কোনো ব্যাংক ঋণ দেওয়ার জন্য কোনো টাকা নিতে পারবে না। কোন ব্যাংককে কত টাকার তারল্য–সহায়তা দেওয়া হবে, সেটি নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ছাড়া দুই ব্যাংকের সমঝোতার ভিত্তিতে ঋণের সুদহার নির্ধারিত হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যারান্টির মানে হলো, কোনো কারণে কোনো ব্যাংক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওই টাকা দেবে। আপাতত কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরাসরি টাকা না দিয়ে অন্য ব্যাংক থেকে ধারের ব্যবস্থা করছে। অর্থাৎ বাজারের টাকা এক ব্যাংক থেকে আরেক ব্যাংকে যাবে। ফলে মূল্যস্ফীতির ওপর বাড়তি প্রভাব পড়বে না।

সংকটে পড়া সাত ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াতে প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকার তারল্য-সহায়তা চেয়েছে। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক ৫ হাজার কোটি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ২ হাজার কোটি, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ৭ হাজার ৯০০ কোটি, ইউনিয়ন ব্যাংক ১ হাজার ৫০০ কোটি, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক সাড়ে ৩ হাজার কোটি, ন্যাশনাল ব্যাংক ৫ হাজার কোটি ও এক্সিম ব্যাংক ৪ হাজার কোটি টাকা চেয়েছে। ইতিমধ্যে হাজার কোটি টাকার বেশি দেওয়া হয়েছে।

অর্থসূচক/এমএইচ

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.