অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর পদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান। চ্যান্সেলর নির্বাচন কমিটির কাছে করা একটি পিটিশনে জোর দিয়ে বলা হয়, ইমরান খান চ্যান্সেলর হওয়ার যোগ্য এবং উপযুক্ত।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে পাকিস্তান ভিত্তিক গণমাধ্যম জিও নিউজ। এর আগে এই নির্বাচনে ইমরানের প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিরুদ্ধে পিটিশন দায়ের করেছেন মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ইয়ুথ উইংয়ের চেয়ারম্যান খুররম বাট। তিনি পিটিশনে ইমরানের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন।
জিও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইমরান খানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা জুলফি বুখারি কারাবন্দি ইমরানের সমর্থনে আন্তর্জাতিক প্রচারণা পরিচালনা করেছেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে এই আবেদন তারই অংশ। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২০০ জন সাবেক এবং বর্তমান ছাত্রদের একটি দল ইমরানকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অনুমতি দিতে চ্যান্সেলর নির্বাচন কমিটির কাছে আবেদন করেছেন।
ইমরানের পক্ষে পিটিশনে ১৭৬ জন সাবেক এবং বর্তমান ছাত্ররা স্বাক্ষর করেছেন। এতে জোর দিয়ে বলা হয়, ইমরান খান চ্যান্সেলর হওয়ার যোগ্য এবং উপযুক্ত। আমরা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং ফ্যাকাল্টির পাশাপাশি গ্লোবাল অ্যালামনাই নেটওয়ার্কের নিম্নস্বাক্ষরিত সদস্যরা, চ্যান্সেলর হিসেবে সম্মানিত পদের জন্য ইমরান খানের প্রার্থীতাকে স্বাগত জানাই। ইমরান খান জনসেবার জন্য আজীবন প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছেন, তার নেতৃত্বের গুণে অক্সফোর্ডের অসংখ্য ছাত্রকে অনুপ্রাণিত করেছেন।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর পদটি অত্যন্ত সম্মানজনক। এই আলংকরিক পদটির সঙ্গে প্রশাসনিক কাজ যুক্ত নয়। তবুও এটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশেষ মর্যাদা বহন করে, যা জেলবন্দি ইমরান খানের জন্য নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিতে পারে।
গত এক বছর ধরে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে আটক রয়েছেন ইমরান খান। ২০২২ সালে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতা হারানোর পর পেছনে দেশটির ক্ষমতাধর সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেন তিনি। ব্যক্তিগত ক্যারিশমা, জনমোহিনী বক্তৃতা এবং রাজনৈতিকভাবে নতি স্বীকার না করার মানসিকতার কারণে ইমরান খান আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।
অর্থসূচক/এএকে/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.