হেলিকপ্টার থেকে গুলি হয়নি, টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়: র‌্যাব

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে র‍্যাবের পক্ষ থেকে কোনো গুলি করা হয়নি বলে দাবি করেছেন র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস। তিনি বলেন, র‍্যাবের হেলিকপ্টার থেকে শুধু টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে র‍্যাব হেডকোয়ার্টার থেকেও বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুরে কাওরান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

আরেক প্রশ্নের জবাবে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা কর্মবিরতিতে গেলেও র‍্যাবের কোনও সদস্য কর্মবিরতিতে যায়নি। র‍্যাব সদস্যরা পালিয়ে যায়নি। আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর র‍্যাবের পক্ষ থেকে কোনও গুলি করা হয়নি। যদি আপনাদের (সাংবাদিক) কোনও অভিযোগ থাকে, আমরা তা খতিয়ে দেখবো।

মুনিম ফেরদৌস বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় যাদের সম্পৃক্ততা আছে, ভিডিও ফুটেজ দেখে দেখে তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আরও ৩০ থেকে ৪০ জনকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। যারা হেলমেট পরা অবস্থায় হামলায় অংশ নিয়েছিল, তাদেরও শনাক্ত করা হচ্ছে।

পূজাকে কেন্দ্র করে যেন কোনো নাশকতা না হয়, সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। বলেন, প্রতিমা বিসর্জনের দিন নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে।

এ সময় সাংবাদিক সাগর-রুনির হত্যা মামলা তদন্তে কোনো গাফিলতি ছিল কিনা এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি। তবে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত বেগবান করতে হাইকোর্ট মনে করেছেন, আরও অভিজ্ঞ লোক দরকার। যারা এ ধরনের কাজে পারদর্শী তাদের অন্তর্ভুক্ত করে টাস্কফোর্স গঠন করতে বলা হয়েছে। এতে যদি র‍্যাবের কোনও সহায়তা লাগে আমরা প্রস্তুত আছি।

মামলা তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বিগত সরকারের কোনও চাপ ছিল কিনা প্রশ্নের জবাবে র‍্যাবের মুখপাত্র বলেন, ‘তদন্তের জন্য আরও অভিজ্ঞদের দিয়ে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।’

গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব থেকে র‌্যাবকে বাদ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করে তদন্তসম্পন্ন করতে ছয় মাস বেঁধে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.