হামাসের সাবেক প্রধান ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ ও ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের কমান্ডারদের হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকির মধ্যে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইরান।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ৩০ মিনিটের পর ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে দ্বিতীয়বারের মতো সরাসরি হামলা চালিয়েছে তেহরান।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, আজকের হামলায় ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একসঙ্গে একশরও বেশি মিসাইল ছুড়েছে ইরান।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, জর্ডানের রাজধানী আম্মানের আকাশ দিয়ে মিসাইল উড়ে যেতে দেখা গেছে। মিসাইলের কারণে জর্ডানেও সাইরেন বেজে ওঠে। ওই সময় অনেক মানুষ বাইরে বের হয়ে আসেন।
ইরানের মিসাইল হামলার মধ্যেই একটি বিবৃতি দিয়েছে দখলদার ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। এতে তারা বলেছে, ইরান এখনো মিসাইল ছুড়ছে এবং সেগুলো আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সেনাবাহিনী পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাধারণ ইসরায়েলিদের আশ্রয়কেন্দ্রে থাকার আহ্বান জানিয়েছে। সেনাবাহিনী আরও বলেছে, যেসব বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে; সেগুলো হয় মিসাইল আটকানোর কারণে হচ্ছে অথবা আঘাত হানার কারণে হচ্ছে।
এর আগে মার্কিন কর্মকর্তা ও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তিন ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, ইরানের পরিকল্পিত হামলার লক্ষ্য তিনটি সামরিক বিমানঘাঁটি এবং তেল আবিবের উত্তরে অবস্থিত একটি গোয়েন্দা সদর দপ্তর। মঙ্গলবার দুপুরে ওই সদর দপ্তর খালি করে ফেলা হয়েছে।
এর আগে গত এপ্রিল মাসে ইরান ইসরায়েলের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়। ওই সময় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান সিরিয়ায় থাকা ইরানি শীর্ষ কমান্ডারদের হত্যা করেছিল। তখন উভয় পক্ষই বড় ধরনের যুদ্ধ এড়াতে চেয়েছিল। কিন্তু কূটনীতিক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের আশঙ্কা অনেক বেশি। ইরানের নতুন হামলার পর ইসরায়েল পাল্টা আঘাত করতে প্রস্তুত রয়েছে।
এদিকে চলমান পরিস্থিতি ইসরায়েলের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
অর্থসূচক/এমএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.