ব্র্যাক ব্যাংকের ২ হাজার ৬৬৮ জন কর্মীকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করার ঘটনায় মানববন্ধন করেছে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকালে মতিঝিল বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় আন্দোলনকারীরা জানান, এখন পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকের ২ হাজার ৬৬৮ জন কর্মীকে অন্যায়ভাবে জোরপূর্বক চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে যা গত ১ সেপ্টেম্বর দেশের সকল সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।
তারা জানান, আমরা স্থায়ী অফিসার হিসেবে ব্র্যাক ব্রাংকে কর্মরত ছিলাম। আমরা চাকরিকালীন সময়ে উক্ত ব্যাংকে বিভিন্ন বিভাগে সৎ ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করি এবং স্ব স্ব ক্ষেত্রে যোগ্যেতার প্রমাণ দিয়ে প্রমোশন ও বিভিন্ন কর্মদক্ষতা পুরস্কার অর্জন করি।
আমরা দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছিলাম এবং আমরা ব্যাংকের প্রতি কোনো ধরনের অবহেলা করেননি। কিন্তু ব্র্যাক ব্যাংক ম্যানেজম্যান্ট জোর পূর্বক ও কোনো স্পষ্ট কারণ ব্যতিরেকে কোনো নোটিশ বা সতর্কবার্তা প্রদান না করে হঠাৎ করে চাকরিচ্যুত করে। তারা আমাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে, কোনো নিরপেক্ষ তদন্ত বা আলোচনা ছাড়াই এ ধরনের কঠোর পদক্ষেপ নেয়।
এর আগে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্ট্রিগিটি অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিসেস বিভাগে আমরা অভিযোগ দাখিল করেন তারা। গত ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে। সেই সূত্র ধরে আমাদের চাকরিতে পুনর্বহালের আদেশ দিয়েছে।
কিন্তু এখন পর্যন্ত চাকরিচ্যুতদের যোগদানের জন্য ব্যাংকের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় নাই। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ইচ্ছেমত চাকরিচ্যুতিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছাচারীতা, নিয়মনিতি উপেক্ষা করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তদন্ত করা ও ব্যাক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য নিরপরাধী অফিসারদের অপরাধী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
এই ধরনের কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণভাবে শ্রম আইন, মানবাধিকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বি, আর, পিডির সার্কুলারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ সময় আন্দোলনকারী কর্মীদের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো:
১। চাকরিচ্যুত কর্মীদের অবিলম্বে পুনর্বহাল ও ভুক্তভোগীদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
২। ব্র্যাক ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে এই ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
৩। ভবিষ্যতে এ ধরনের অন্যায় পুনরাবৃত্তি বন্ধ করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে একটি স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিমূলক প্রক্রিয়া প্রবর্তন করতে হবে।
অর্থসূচক/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.