ভারতকে ৯৫ রানের লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ

বৃষ্টিতে ভেসে গেছে প্রায় আড়াই দিনের মতো। প্রথম চার দিন মিলিয়ে খেলা হয়েছে মাত্র ১২০ ওভার। তবুও ম্যাচ জেতার জোরালো সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে ভারত। শেষ দিনে তাই কিছুটা কঠিন পরীক্ষা দেবে বাংলাদেশ। দুই উইকেটে ২৬ রান নিয়ে শেষ দিন শুরু করে বাংলাদেশ।

দিনের প্রথম ওভারে লেগ স্লিপ রাখেননি রোহিত শর্মা। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সেই ওভারে পাঁচ রান নেয় বাংলাদেশ। জসপ্রীত বুমরাহর করা দ্বিতীয় ওভারেও পাঁচ রান নেয় বাংলাদেশ। মুমিনুলের জন্য অশ্বিনের করা দ্বিতীয় ওভারে লেগ স্লিপ রাখেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। দিনের তৃতীয় ওভারে পছন্দের সুইপ শট খেলতে গিয়ে মুমিনুল ধরা পড়েন সেখানেই। দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন লোকেশ রাহুল। দুই রান করে ফিরে হলো প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মুমিনুলকে।

মুমিনুল ফেরার পর বেশ ইতিবাচকভাবেই খেলছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এই দুজনের ব্যাটে লিড পায় বাংলাদেশ। কিন্তু সাদমান ইসলামের সঙ্গে ৫৫ রানের জুটি গড়ার পর ফিরে যেতে হয় বাংলাদেশের অধিনায়ককে। শেষ দিনে রবীন্দ্র জাদেজার করা প্রথম ওভারে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে বোল্ড হওয়ার আগে ১৯ রান করেন শান্ত।

শান্ত ফেরার ওভারেই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সাদমান। যদিও ভারতের মাটিতে প্রথম বাংলাদেশী ওপেনার হিসেবে হাফ সেঞ্চুরি করার পর বেশীক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি তিনি। ১০১ বলে ৫০ রান আসে তার ব্যাটে। হাফ সেঞ্চুরির পর আকাশ দীপের পরের ওভারে অফ সাইডের অনেক বাইরের বল খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন সাদমান। দারুণভাবে ক্যাচটি নেন জায়সাওয়াল।

৯১ রানে চতুর্থ উইকেট হারানো বাংলাদেশ সপ্তম উইকেট হারায় ৯৪ রানে। শেষ দিনে নিজের দ্বিতীয় ওভারে উইকেট নেন জাদেজা। শেষ বলে লিটন দাসকে ফেরান এই অলরাউন্ডার। তার বাউন্স করা দ্রুতগতির বলটি লিটনের গ্লাভসে লেগে উইকেটরক্ষক ঋষভ পান্তের মুঠোয় চলে যায়। ফেরার আগে আট বলে এক রান করেন লিটন। এই দিনে নিজের তৃতীয় ওভারে আবারও উইকেট নেন জাদেজা। সাকিব আল হাসানকে কট এন্ড বোল্ড করে বিদায় করেন জাদেজা। শূন্য রানে ফিরলেন সাকিব।

মাত্র তিন রানের ব্যবধানে চার উইকেট হারিয়ে মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে এগিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশ। দলীয় শতরান পার করান এই দুজন। এরপর অবশ্য জসপ্রীত বুমরাহর ফাঁদে পড়ে বাংলাদেশ।

দারুণ এক ডেলিভারিতে মিরাজকে ফেরান তিনি। বুমরাহর বলে খোঁচা মেরে উইকেটরক্ষক পান্তের কাছে ক্যাচ দেন ১৭ বলে ৯ রান করা মিরাজ। একটু পর তাইজুল ইসলামকেও ফেরান বুমরাহ। তাকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন বুমরাহ। শেষ উইকেট হিসেবে বিদায় নেন মুশফিকুর রহিম। ৬৩ বলে ৩৭ রান করে বুমরাহর বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.