পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেলুচিস্তান প্রদেশে বন্দুক হামলায় অন্তত ১৫ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। নিহতদের অধিকাংশই পাঞ্জাব অঞ্চল থেকে কাজ করার জন্য বেলুচিস্তানে এসেছিলেন।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জার্মান ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এখনো পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এই হামলার দায় আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি। তবে দেশটির নিরাপত্তা বিভাগ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, বালোচ বিচ্ছিন্নতাবাদীরাই এই হামলার পেছনে জড়িত।
আনুষ্ঠানিক সরকারি তথ্য মতে, এই ঘটনায় সাত শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তবে ডয়চে ভেলে অসমর্থিত সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ইতোমধ্যে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বেলুচিস্তানের পশ্চিমে পাঞ্জগুর অঞ্চলে এই ঘটনা ঘটেছে। প্রথম আক্রমণের পর আশপাশে বেশ কয়েকটি এলাকায় আরও হামলার ঘটনা ঘটে।
বালোচ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীদের বক্তব্য, তাদের এলাকায় বাইরের অঞ্চল থেকে কেউ এসে কাজ করতে পারবে না। গত আগস্টে বালোচ লিবারেশন আর্মি নামের সংগঠনটি বেশ কয়েকবার দেশের অন্যান্য অংশ থেকে আসা শ্রমিকদের ওপর হামলা চালায়।
প্রসঙ্গত, গত আগস্ট মাসে একই ধরণের হামলায় ৩৯ জন শ্রমিক নিহত হন। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা মহাসড়কে ট্রাক থামিয়ে পরিচয়পত্র যাচাই করে বেলুচিস্তানের বাসিন্দা নন এমন শ্রমিকদের গুলি করে হত্যা করে।
এর আগে গত মে মাসে গদর বন্দর শহরে ৭ নাপিতকে একই কারণে হত্যা করা হয়েছিল। একই কায়দায় গত এপ্রিলে ১১ জন পাঞ্জাবি শ্রমিককে হত্যা করা হয়।
পাকিস্তানের দরিদ্রতম অঞ্চলের অন্যতম বেলুচিস্তান। এই অঞ্চলে বালোচ বিচ্চিন্নতাবাদীরা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং অন্য প্রদেশ থেকে আসা শ্রমিকদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
পাকিস্তান সরকার এবং চীনের উপরও তীব্র ক্ষোভ আছে বালোচ বিচ্ছিন্নতবাদীদের। চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের অন্যতম বন্দর গদর, যা বালোচিস্তানের অংশ।
বালোচ বিচ্ছিন্নতাবাদীরে অভিযোগ, তাদের এলাকায় ঢুকে চীন ও পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার তাদের জমি কেড়ে নিচ্ছে। উন্নয়নের নামে বালোচদের উপর আক্রমণ চালানো হচ্ছে।
অর্থসূচক/এএকে/এমএস



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.