ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর শরীরটি অক্ষত অবস্থায় ছিল। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
হাসপাতাল ও আরেকটি নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হামলায় নাসরুল্লাহ সরাসরি কোনো আঘাত পাননি। ধারণা করা হচ্ছে, বিস্ফোরণের তীব্রতার কারণে তিনি মারা যান।
গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণের শহরতলিতে মুহুর্মুহু বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। হামলার অন্যতম লক্ষ্য ছিল হিজবুল্লাহর প্রধান কার্যালয়।
পরের দিন শনিবার সকালে হামলায় হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন বলে দাবি করে ইসরায়েল। ইসরায়েলের দাবির কয়েক ঘণ্টা পর হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে নাসরুল্লাহর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে। তবে ঠিক কীভাবে তিনি মারা গেছেন, তাঁর জানাজা কখন কোথায় অনুষ্ঠিত হবে, তা জানায়নি হিজবুল্লাহ।
এদিকে রয়টার্স জানায়, ১৯৯২ সালে মাত্র ৩২ বছর বয়সে হিজবুল্লাহর প্রধান হন নাসরুল্লাহ। মূলত লেবাননের দক্ষিণ সীমান্ত থেকে দখলদার ইসরায়েলকে বিতাড়িত করতে ইরানের সমর্থনে হিজবুল্লাহর যাত্রা শুরু হয়েছিল। ১৯৮৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠা পায় সংগঠনটি। ধীরে ধীরে তারা দেশটির সবচেয়ে শক্তিশালী রাজনৈতিক ও সশস্ত্র সংগঠনে পরিণত হয়। তবে সর্বশেষ ২০২২ সালের নির্বাচনে দেশটির পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় হিজবুল্লাহ ও তার মিত্ররা। এরপরও লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলের সীমান্ত লাগোয়া বড় অংশ হিজবুল্লাহর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
অর্থসূচক/ এএকে/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.