ক্ষুদ্র হিসাবধারীদের জন্য তহবিলের আকার বেড়েছে ২৫০ কোটি টাকা

করোনার সময়ে ১০, ৫০ ও ১০০ টাকার হিসাবধারীদের জন্য ৫০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করেছিলো বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার সেই তহবিলের আকার বাড়িয়ে ৭৫০ কোটি টাকা করেছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত স্কিমের আকার বৃদ্ধি করে সার্কুলার জারি করেছে।

এতে বলা হয়, দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে প্রাতিষ্ঠানিক আর্থিক সেবাভুক্তির আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে ১০ টাকার হিসাবধারী ক্ষুদ্র, প্রান্তিক, ভূমিহীন কৃষক, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ নিম্ন আয়ের পেশাজীবী ও প্রান্তিক বা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য ৫০০ কোটি টাকার একটি আবর্তনশীল পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করা হয়েছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে (বন্যায়) ক্ষতিগ্রস্ত মোট ২৭টি জেলাসহ অন্যান্য বন্যাদুর্গত এলাকার জনগণকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঋণ সুবিধা প্রদান, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী তথা নারীদের জন্য ব্যাংক ঋণের সহজলভ্যতার পথ সুগম রাখা ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তি সম্প্রসারণ সর্বোপরি দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে আয় উৎসারী কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে চলমান রাখার জন্য তহবিলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে ৭৫০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হলো।

২৭টি জেলার মধ্যে রয়েছে- ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নেত্রকোনা, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, সিলেট, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, যশোর, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট।

বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানিয়েছে, এ স্কিমের আওতায় মোট ঋণের ন্যূনতম ২৫ শতাংশ নারী ঋণগ্রহীতা বা উদ্যোক্তাদের মাঝে বিতরণ করতে হবে। এছাড়া, তৃতীয় লিঙ্গের গ্রাহকরাও এ ঋণ সুবিধা পাবে।

ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত সমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

অর্থসূচক/এমএইচ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.